প্রকৌশল গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি–সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১৭ জানুয়ারি সকালে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা হবে। একই দিন বেলা পৌনে একটা থেকে অঙ্কন অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করা যাবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কাজী দেলোয়ার হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়েই কাছাকাছি সময়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের প্রস্তুতি ভালো। আশা করি শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে তাঁদের পরীক্ষাটা দিতে পারবে।’

আবেদনের যোগ্যতা

চুয়েটে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রার্থীকে অবশ্যই ২০২২ অথবা ২০২৩ সালে মাধ্যমিক এবং ২০২৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে মোট গ্রেড পয়েন্ট কমপক্ষে ১৪ ও ইংরেজি বিষয়ে কমপক্ষে বি গ্রেড পেতে হবে।

ইংরেজি ভার্সন, বিদেশি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ক্ষেত্রেও যোগ্যতা একই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৪ পেতে হবে।

যেভাবে হবে বাছাই

গত বছরের মতো এ বছরও ১২টি বিভাগে ৯৩১টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন ১৬ হাজার শিক্ষার্থী। নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা ফলাফলে এগিয়ে থাকবেন, তাঁরাই সুযোগ পাবেন। যদি একই ফলাফলের একাধিক শিক্ষার্থী থাকেন, তাহলে যে শিক্ষার্থী পর্যায়ক্রমে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিতে নম্বর বেশি পাবেন, তাঁকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

গত বছরের মতো এবারও দুটি গ্রুপে পরীক্ষা হবে। একটি গ্রুপে রয়েছে প্রকৌশলের সব বিভাগ আর নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ। আরেকটি গ্রুপে এসব বিভাগের পাশাপাশি স্থাপত্য বিভাগ রয়েছে। প্রথম গ্রুপে আবেদন করতে ১ হাজার ২০০ ও দ্বিতীয় গ্রুপে আবেদন করতে ১ হাজার ৪০০ টাকা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য বাছাইয়ে যেসব শিক্ষার্থী বাদ পরবেন, তাঁদের আবেদন ফি ফেরত দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে। শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। আগামী ১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে। এরপর ৬ জানুয়ারি বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে ১২ জানুয়ারি। ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ড স ম বর প রক শ র ভর ত

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট ভর্তি পরীক্ষা: জেনে নিন ১০৬৫ আসনের খুটিনাটি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তিতে আবেদন শুরু হবে আগামী বুধবার (৩ ডিসেম্বর ২০২৫)। সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী ব্যক্তিরা। ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

২৭ নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তি হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদগুলোয় ১৬টি বিভাগে ১ হাজার ৬৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের পাঠ্যসূচির ওপর এবং ফাংশনাল ইংলিশের ওপর ভিত্তি করে ৩ ঘণ্টার ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে।আবেদনের যোগ্যতা—

প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ অথবা সমতুল্য গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে অথবা ২০২৪ সালের নভেম্বর বা তারপরে ‘A’ লেভেল সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত হতে হবে।

প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক/আলিম/সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজি—চারটি বিষয়ে কমপক্ষে মোট জিপি ১৮ অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় উক্ত বিষয়গুলোয় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে এককভাবে ন্যূনতম জিপিএ-৪ পেতে হবে। এ ছাড়া বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হতে হলে প্রার্থীকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে জিপি ৪.০০ থাকতে হবে।

প্রার্থী জিসিই ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পাস করে থাকলে তাঁর ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে। ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও গণিতে পৃথকভাবে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে। এ ছাড়া বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হতে হলে প্রার্থীকে জিসিই ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড পেয়ে পাস হতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ অথবা সমতুল্য গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ককশিটের গোডাউনে অগ্নিকান্ড
  • বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ
  • কুয়েট ভর্তি পরীক্ষা: জেনে নিন ১০৬৫ আসনের খুটিনাটি