সিলেটে দুই ট্রাক সাদাপাথর জব্দ, দুই চালককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
Published: 21st, October 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে ট্রাকে সাদাপাথর নিয়ে যাওয়ার সময় দুই চালককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে সিলেট–কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ট্রাক দুটি আটক করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই ট্রাকচালককে জরিমানা করা হয়।
অর্থদণ্ড পাওয়া দুজন হলেন বগুড়ার নরুইল গ্রামের রেজওয়ান (২৭) ও কালিবালা গ্রামের আরিফুল (৩৫)।
আরও পড়ুনসাদাপাথর-বালু লুটের মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার০৪ অক্টোবর ২০২৫এর আগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে পাথর লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ও তল্লাশিচৌকি বসিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক আটক করা হয়। এ ছাড়া সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় একাধিক মামলাও হয়েছে। বর্তমানে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে পাথর ও বালুবাহী যানবাহন তল্লাশি করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে ওই ট্রাক দুটি ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় এগুলো তল্লাশিচৌকিতে আটক করা হয়। পরে পাথরবিষয়ক কাগজপত্র চাওয়া হলে দেখাতে পারেননি চালকেরা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে পাথর পরিবহন করা ট্রাক দুটিসহ দুজনকে আটক করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাছনাত আজ সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরে ওই দুজনকে ৭৫ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মোহাম্মদ আবুল হাছনাত বলেন, জরিমানার পাশাপাশি ওই দুজনকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে একই কর্মকাণ্ডে আবার আটক হলে অধিক জরিমানার পাশাপাশি কঠোর দণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জব্দ করা পাথর উপজেলা প্রশাসনের জিম্মায় রয়েছে। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৬০ বছর বয়সে প্রেমের দেখা পাব ভাবিনি: আমির খান
দীর্ঘ বিরতির পর নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পর’ দিয়ে ফিরেছেন আমির খান। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও আছে নতুন খবর—নতুন প্রেমিকা গৌরী স্প্র্যাটকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। গতকাল শনিবার হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে হাজির হয়ে নিজের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন আমির।
টানা ফ্লপ, এরপর...
‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ সুপারহিট হয়। কিন্তু এরপর নিজের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছিলেন আমির খান। তাঁকে বলা হচ্ছিল ‘ওয়ান-ফিল্ম ওয়ান্ডার’ বা এক ছবির বিস্ময়। কীভাবে তিনি সেই সংকট থেকে ফিরে এলেন, জানালেন নিজেই।
হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে কথা বলতে গিয়ে আমির ফিরে গেলেন নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে—এমন এক সময়ে, যখন বিভ্রান্তি, ভুল সিদ্ধান্ত আর সৃজনশীল অস্থিরতা প্রায় তাঁকে বলিউড ছেড়ে যেতে বাধ্য করছিল।
আমির বলেন, ‘“কেয়ামত সে কেয়ামত তক” আমার প্রথম ছবি, আর সেটাই হিট। রাতারাতি তারকা হয়ে যাই। প্রচুর অফার আসতে থাকে। যেসব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম, তাঁদের থেকে অফার পাইনি…কিন্তু ভাবলাম, সবাই যখন ৩০-৪০টি ছবি করছে, আমি যদি ৮-১০টা করি, সমস্যা কোথায়!’
কিন্তু সিদ্ধান্তটা যে ভুল; খুব দ্রুতই বোঝা গেল। একের পর এক সিনেমার শিডিউল দিতে দিতেই চাপ বাড়তে লাগল। আমির বললেন, ‘আমি বুঝলাম ভয়ংকর ভুল করেছি। একসঙ্গে ২-৩টি ছবি করার মানুষই নই…এটাই আমার প্রথম শিক্ষাটা।’