শরীয়তপুরের আলোচিত নাজমা বেগম হত্যা মামলার আসামি শহিদুল ইসলাম রিপন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮ এর মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল।

গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম রিপন শরীয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলার সোনাই মোল্লার ছেলে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে শরীয়তপুরের পালং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মাদারীপুরে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার

নিহত নাজমা বেগম শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কাজী কান্দি গ্রামের সেকেন্দার কাজীর মেয়ে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “২১ অক্টোবর দুপুরে নাজমা বেগমকে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসামিরা। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর আমরা তাকে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।”

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের পালং থানার রূপনগর এলাকার বাসিন্দা নাজমা বেগমকে গত ২১ অক্টোবর দুপুরে তার ফ্ল্যাট বাসায় হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরদিন ২২ অক্টোবর নিহতের ভাই দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে পালং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে তা ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। পরে মামলাটি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি দল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম রিপন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে নিহতের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকার লোভেই নাজমা বেগমকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে আসামি।

ঢাকা/বেলাল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ম মল আস ম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ