স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শনিবার (২৫ অক্টোবর) এক অবিশ্বাস্য রাত দেখল ফুটবলপ্রেমীরা। নিজেদের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের নবম ম্যাচে ১-২ গোলে হেরে গেছে চেলসি। চেলসির কাছ থেকে সেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল সান্ডারল্যান্ড। ইনজুরি সময়ের নাটকীয় গোলেই হারের তিক্ত স্বাদ পেল ‘ব্লুজ’রা।

ম্যাচের শুরুটা ছিল চেলসির জন্য একদম স্বপ্নের মতো। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই পেদ্রো নেতোর পাস থেকে দারুণ বাঁ-পায়ের শটে নিজের প্রথম গোলটি করেন আলেহান্দ্রো গারনাচো। মনে হচ্ছিল, ঘরের মাঠে আর কোনো বাধা থাকবে না চেলসির সামনে। কিন্তু ২২ মিনিটের মাথায় হঠাৎই সমতায় ফিরে আসে সান্ডারল্যান্ড। দ্রুত পাল্টা আক্রমণে উইলসন ইসিদোর নিখুঁত ফিনিশে স্কোরলাইন হয়ে যায় ১-১। বিরতির আগে পর্যন্ত দারুণ লড়াই চলে দুই দলের মাঝে।

আরো পড়ুন:

কুবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২ 

ওয়ালটন করপোরেট ফুটবল দলের নিবিড় অনুশীলন

দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলে ছিল পুরোপুরি চেলসির নিয়ন্ত্রণে। একের পর এক আক্রমণ গড়লেও গোলের দেখা মেলেনি। সান্ডারল্যান্ডের রক্ষণভাগ ছিল শৃঙ্খলিত, ঠাণ্ডা মাথায় সামলেছে প্রতিটি ঢেউ।

সবকিছু যখন ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল, তখনই আসে সেই চূড়ান্ত আঘাত। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে (৯০’+৩) দ্রুত পাল্টা আক্রমণে চেমসদিনে তলবি দারুণ ফিনিশে গোল করে সান্ডারল্যান্ডকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়।

এই হার চেলসির জন্য এক বড় ধাক্কা। তাদের পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হলো। বিপরীতে, সান্ডারল্যান্ডের জন্য এটি এক সোনালি জয়। যা তাদের মৌসুমের সবচেয়ে স্মরণীয় রাতগুলোর একটিতে পরিণত করেছে।

এই হারে ৯ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি আছে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে। আর সান্ডারল্যান্ড ১৭ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান নিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ লস র

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ