আপনি জানেন? প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে ৪ জন মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। গবেষকেরা বলেন,‘‘জেনারেশন-জির ৪৬ শতাংশ অনিদ্রায় আক্রান্ত। এর মধ্যে আবার ৩৫ শতাংশ পর্যাপ্ত পরিমাণের তুলনায় অনেক কম ঘুমাচ্ছে’’। ঘুম হলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক।
পুরো ঘুম পরিচালিত হয় মস্তিষ্কের মাঝখান থেকে। আমাদের মস্তিষ্ক, চোখ, কান, ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সবচেয়ে জটিল প্রক্রিয়াগুলো ঘুম ছাড়া ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। অনিদ্রার প্রথম লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়, চোখের নিচে কালো দাগ।
আরো পড়ুন:
শীতকালে ভোরে নাকি বেলা বাড়লে হাঁটা ভালো?
বাতের ব্যথা বাড়লে করণীয়
ঘুম কম হলে মানুষের ত্বকের কোষগুলো নিজেদের রিপেয়ার করতে পারে না। এ থেকে স্পষ্ট হয়, আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য সরাসরি ঘুমের সঙ্গে জড়িত। ঘুমের আরেকটি প্রধান কাজ হলো চোখের মেরামত করা। তাই ঘুম ঠিকমতো না হলে পরদিন দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
প্রতিটি চোখের পেছনে অপটিক নার্ভ রয়েছে, যা চোখের অংশ এবং এরা সরাসরি মস্তিষ্কের পেছনে অকসিপিটাল লোবের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এর মানে হলো চোখ ও মস্তিষ্ক একসঙ্গে কাজ করে দেখতে ও চিন্তা করতে। রেটিনার মাঝখানে অবস্থিত অপটিক নার্ভের অনেকগুলো কাজের মধ্যে একটি হলো ঘুমের সারকাডিয়ান রিদম রক্ষা করা। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব বডি ক্লক বা দেহঘড়ি আছে। আবার ঠিক তেমনি প্রকৃতির ও নিজস্ব আলো-আঁধারির সাইকেল আছে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। প্রকৃতির আলো-আঁধারির আবর্তন এবং মানুষের নিজস্ব দেহঘড়ি একসঙ্গে কাজ করে। চোখের অপটিক নার্ভ প্রাকৃতিক আলো- অন্ধকারের সিগন্যাল পেয়ে, অর্থাৎ বাইরে কি এখন আলো নাকি অন্ধকার, সেই তথ্য মস্তিষ্কের মাঝখানে অবস্থিত হাইপোথ্যালামাসে পাঠায়। এখান থেকে সুপ্রাসিয়াসমেটিক বার্তা নির্গত হয়। এর কাজ হলো ঘুমের সারকাডিয়ান সাইকেলকে ঠিকমতো চালিয়ে নেওয়া।
প্রকৃতিতে যখন অন্ধকার হয়, তখন থেকে মস্তিষ্কে সিগন্যাল পৌঁছানো শুরু হয় এবং মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ শুরু হয়। মেলাটোনিনকে বলা হয় ঘুমের হরমোন এবং এটি রাতের বেলা নিঃসরণ হয়, যা আমাদের ঘুমাতে সাহায্য করে। দিনের আলোয় এই হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়। জাগার পর থেকেই আবার ঘুমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। জেগে থাকলে শরীরে অ্যাডিনোসিন নিসৃত হয়। এই হরমোন আমাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন করে। এই হরমোন নিঃসরণ হতে থাকলে ১৬ ঘণ্টা পর শরীর ঘুমে এলিয়ে পড়ে। তার মানে হলো আমাদের মানবজীবন পুরোটাই ঘুমের সঙ্গে জড়িত।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র হরম ন
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হলেন ২৭০৬ জন
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যপক পদে একসঙ্গে ২ হাজার ৭০৬ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯৫ জন সহযোগী অধ্যাপককে অধ্যাপক এবং সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের ১ হাজার ৭১১ জনকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই পদোন্নতির কথা জানিয়েছে। পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকেরা আগের পদেই দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর একসঙ্গে ১ হাজার ৮৭০ প্রভাষককে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়। এর মধ্যে দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। অর্থাৎ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতিযোগ্য তিনটি স্তরেই পদোন্নতি দেওয়া হলো।
আরও পড়ুনএলোমেলো শিক্ষা খাত, বাড়ছে সংকট২০ নভেম্বর ২০২৫