কালারস শিল্পীদের শান্তি-অন্বেষা
Published: 12th, December 2025 GMT
শান্তি মানুষের অন্তর্নিহিত আকাঙ্ক্ষা। শিল্পীও এই শান্তির সন্ধানেই সৃজনের পথে হাঁটেন। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত ভুবনকে অতিক্রম করে শিল্পের ভাষ্য অনিবার্যভাবে ছুঁয়ে যায় সময়ের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিপার্শ্ব, দেশ–কাল–পাত্রের ইতিহাস ও সমষ্টিগত প্রত্যাশাকে। কালারস গ্রুপের শান্তির সন্ধানে (ইন কোয়েস্ট অব পিস) শিল্পকর্ম-প্রদর্শনীও সেই সমষ্টিগত সুরে সমৃদ্ধ; যেখানে ফুল, পাখি, দেহাবয়ব এবং আবহমান বাংলার চিরপরিচিত বিষয় শান্তির রূপকে উপস্থাপিত হয়েছে।
বিভিন্ন মাধ্যমে নির্মিত এ কাজগুলোর ভেতর যেন ছোট ছোট পাঠযোগ্য গল্প লুকিয়ে আছে। রঙের উজ্জ্বল বাহার থেকে ধাতব তারে কাগজমণ্ডিত ভাস্কর্যের বিন্যাস—সবকিছুতে একধরনের মৃদু শান্তির স্বরধ্বনি। বিশেষভাবে নজর কাড়ে ফারজানা ইসলাম মিল্কির ভাস্কর্যসমূহ, যেগুলো দৈনন্দিন জীবনের ক্ষুদ্র অথচ নিখাদ শান্তির দৃশ্যগুলোকে ধারণ করেছে। তিনি ধাতবকাঠামোর ওপর সংবাদপত্র মুড়িয়ে গড়ে তুলেছেন মানুষ ও পশুপাখির দেহাবয়ব। সেগুলো কখনো দেয়ালে বসানো নতোন্নত আকৃতি, আবার কখনো গ্যালারির মেঝেতে পূর্ণাঙ্গ ভাস্কর্য হিসেবে দণ্ডায়মান। আয়েশি ভঙ্গিতে সংবাদপত্র পাঠ, কাঁধে সন্তান নিয়ে হাঁটা, বাঁশি হাতে রাখাল কিংবা উচ্ছ্বসিত পাখিদের দৃশ্য—সব মিলিয়ে দৈনন্দিন জীবনের সরল অথচ শান্তিময় মুহূর্তগুলোই মূর্ত হয়ে উঠেছে তাঁর কাজে।
১ / ৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এখন সুগার মাম্মি হওয়ার বয়স, কেন বলেছিলেন কুসুম?
দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। দুই পর্দায়ই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। মাঝে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। কেবল তাই নয়, মিডিয়ার কোনো অনুষ্ঠানেও তাকে দেখা যেত না। যদিও নিজ ভুবনে ফের ফিরেছেন কুসুম। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে কুসুম বলেছিলেন—“আমার এখন সুগার মাম্মি হওয়ার বয়স।” ফলে বিষয়টি নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছিল।
অনেকটা সময় পর পুরোনো সেই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন কুসুম। এমন বক্তব্য কেন দিয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন কুসুম। এ আলাপচারিতায় সঞ্চালক তার কাছে জানতে চান, আপনি নাকি ‘সুগার মাম্মি’ হতে চান? এ প্রশ্ন শুনেই হাসতে হাসতে কুসুম শিকদার বলেন, “ও মাই গড! এখনো এটা?”
আরো পড়ুন:
ক্যারিয়ারের শুরুতে কত টাকা পারিশ্রমিক পেতেন তৌকীর?
‘গর্ত থেকে বাচ্চাকে বের করার উন্নত প্রযুক্তি দেশে নাই, ভাবা যায়?’
‘সুগার মাম্মি’ হওয়ার প্রসঙ্গ কোথা থেকে শুরু হয়, সেই ঘটনা বর্ণনা করে কুসুম শিকদার বলেন, “একটা সাক্ষাৎকারে এটা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমার কাছে জানতে চেয়েছিল—‘শোনা যায়, আপনার অনেক সুগার ড্যাডি ও গড ফাদার আছে। কিংবা একসময় ছিল বলেও শোনা যায়। এসব তথ্য কতটা সত্যি?’ তখন আমি কিছুটা বিরক্ত হয়েই হেসে হেসে বলেছিলাম, ‘সুগার ড্যাডির সময় কি আর আছে। এখন সুগার মাম্মি হওয়ার বয়স।’ ব্যাপারটা এভাবেই এসেছে।”
যে মেয়ে আর্থিকভাবে সচ্ছল, ভালো জীবনযাপন করছে, এ ক্ষেত্রে ধরেই নেয়, তার সুগার ড্যাডি আছে। এ ধারনাটা কেমন না! সঞ্চালকের এ বক্তব্যের রেশ ধরে কুসুম শিকদার বলেন, “এটা একদম বোকা টাইপের কথা। যারা জানে না, তারা এরকম বলে। ধরেন, যারা আমাকে একদম নতুন চিনেছে, নতুন প্রজন্ম। ‘শরতের জবা’ সিনেমার পরে যখন প্রচারে আসলাম। তখন তারা চিনেছে। সেই সময়ে হয়তো আমার কথাবার্তা, পোশাক, জুয়েলারি, ঘড়ি—এসব দেখে বা কিছু সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য এসেছে। তখন তাদের মনে হয়েছে, এত টাকা কীভাবে আসলো। তার মানে তো ওনার সুগার ড্যাডি আছে!”
এত বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে তার জমানো টাকা থাকাই স্বাভাবিক বলে মনে করেন কুসুম শিকদার। তার ভাষায়—“আমার তো বয়স অনেক। আমি তো মিডিয়াতে কাজ করছি ২৩-২৫ বছর ধরে। আমি একুশ বছর বয়স থেকে আয় করি। আমার কিছু টাকা-পয়সা থাকা তো স্বাভাবিক। না থাকাই বরং অস্বাভাবিক। আসলে এসব সেন্সের অভাব!”
ছোটবেলায় গানের হাতেখড়ি কুসুম শিকদারের। নজরুল একাডেমি থেকে নজরুল সংগীত ও ধ্রুপদী সংগীতের উপর কোর্স সম্পন্ন করেন। পরে ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ এবং ওস্তাদ মোরশেদের কাছে গানের তালিম নেন তিনি। তার ক্যারিয়ার শুরু একজন শিল্পী হিসেবে। ২০০২ সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন কুসুম। পরবর্তীতে নাম লেখান টেলিভিশন নাটকে। তার অভিষেক চলচ্চিত্র ‘গহীনে শব্দ’। ২০১০ সালে মুক্তি পায় এটি।
ঢাকা/শান্ত