ওসমান হাদির ওপর হামলায় জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 12th, December 2025 GMT
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে রায় সাহেব মোড় প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে জবি শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ওসমান হাদির ওপর যে অতর্কিত হামলা হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই এ হামলা প্রমাণ করেছে, ইন্টেরিম সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা হাদির পাশে আছি এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।”
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফেরদৌস শেখ বলেন, “১৯৫২, ৭১, ৯০ এবং সর্বশেষ ২৪— বার বার আমরা রক্ত দিয়েছি বাংলা ও বাংলার মানুষের জন্য। কিন্তু, দুঃখের বিষয়, আমাদের রক্তের বিনিময়ে কিছু কুলাঙ্গার বার বার বাংলার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করে যাচ্ছে। এর প্রতিফলন আমরা ২০২৪ সালেও দেখেছি। আমি সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে বলতে চাই; ওসমান হাদি একা নন, বাংলার প্রতিটি ঘরেই হাদির মতো মানুষ আছে। আপনারা কয়জনের ওপর গুলি চালাবেন? এবার বাংলা আমরা বাংলার মানুষের করেই ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ।”
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার অওরীন বলেন, “আগে খুন-গুম ছিল খুব সাধারণ ঘটনা। ২৪-এর জুলাই আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল সত্যিকারের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া। কিন্তু, হাদি ভাইয়ের মতো একজন প্রতিবাদী কণ্ঠ যখন নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তখনই তার ওপর হামলা; এটা আমাদের নিরাপত্তাহীনতার চরম প্রকাশ। যারা এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।”
শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “এ হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যে করা হামলা। এর দায় ইন্টেরিম সরকারকে নিতে হবে। ৫ আগস্টের পর ছাত্রসমাজের দাবির মূল কথা ছিল স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচার। কিন্তু, এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান বিচার হয়নি। যদি সরকার এভাবে নীরব থাকে, তাহলে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব হবে না।”
তিনি আরো বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলার ছাত্রসমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।”
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঢাকা/লিমন/জান্নাত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওসম ন হ দ র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
মান্না বেঁচে থাকলে শাকিবকে একা লড়তে হতো না—রোজিনার মূল্যায়ন
একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজিনা। আশির দশকের ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নাম। তাঁর অভিনীত অসংখ্য সিনেমা সেই সময়ে সুপারহিট হয়েছে। দীর্ঘ অভিনয়জীবনের পর বর্তমানে দেশ–বিদেশে সময় কাটান এই অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় তিনি। নিয়মিত ভ্লগে নিজের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা তুলে ধরেন ভক্তদের সামনে। পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ফটোশুটেও অংশ নিতে দেখা যায় তাঁকে।
সম্প্রতি চ্যানেল আইয়ের পডকাস্ট শো ইউ-টার্নে অংশ নিয়ে চলচ্চিত্রজীবনের নানা অধ্যায় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন রোজিনা। আলাপচারিতায় উঠে আসে তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ার, সুস্থ থাকার রহস্য এবং সহশিল্পীদের সঙ্গে কাটানো স্মরণীয় সময়ের গল্প। তবে পুরো আলোচনার মধ্যে সবচেয়ে আবেগঘন হয়ে ওঠে প্রয়াত নায়ক মান্নাকে ঘিরে তাঁর স্মৃতিচারণা।
মান্না প্রসঙ্গে রোজিনা বলেন, ‘তখন মান্না নতুন এসেছে। আমার সঙ্গে দুয়েকটা ছবিতে কাজ হয়েছে। হিরো হিসেবে না হলেও কখনো ভাই, কখনো দেবরের চরিত্রে। খুব ভালো একজন অভিনেতা ছিল সে।’ মান্নার আত্মবিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে রোজিনা বলেন, ‘শুরু থেকেই ওর ভেতরে একটা বিশ্বাস ছিল—একটা জায়গায় ও পৌঁছাবে। সত্যিই সে সেই জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছিল।’
চিত্রনায়িকা রোজিনা