গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্যের জের ধরে গোপালগঞ্জে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে এয়ারগানের গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন ছয় জন। এছাড়া সংঘর্ষে আরো ১৪ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর শুকতাইল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এয়ারগানের গুলিতে আহতরা হলেন- নয়ন শেখ (২৫), রায়হান সিকদার (৩৫), পারভেজ মোল্লা (৪৫), রুবেল মোল্লা (২৫), আনোয়ার শেখ (২২) ও মেহেদী হাসান (২৪)। এই ছয়জনসহ মোট ১২ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাবুল মোল্লার লোক আহম্মদ মোল্লা (৫২) ও হাফিজ মোল্লাকে (৫৪) পারভেজ মোল্লার লোকজন মারধর করে। গতকাল রাতে আহতাবস্থায় তাদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার জের ধরে আজ সকালে চর শুকতাইল গ্রামে পারভেজ মোল্লার সাথে একই গ্রামের বাবুল মোল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধরে চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ছয় জন এয়ারগানের গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.

আনিচুর রহমান জানিয়েছেন, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪/৫ সামান্য আহত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় এখানো কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, “আমি সকালে ১০ জনের চিকিৎসা দিয়েছি। এরমধ্যে কয়েকজনের শরীর থেকে এয়ারগানের গুলি বের করতে পেরেছি। বাকীদের বের করতে পারিনি। তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে।”

ঢাকা/বাদল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ওসমান হাদি ‘লাইফ সাপোর্টে’: ঢাকা মেডিকেলের পরিচালকের দপ্তর

রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে।

আজ শুক্রবার বিকেল চারটার কিছু পরে ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে ফোন করা তাঁর দপ্তর থেকে কারণ জানতে চাওয়া হয়। তখন হাদির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বলা হয়, হাদির অবস্থা ক্রিটিক্যাল (আশঙ্কাজনক)। তাঁকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। বুলেটটি (গুলিটি) তাঁর মাথার ভেতরে রয়েছে।

আজ দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন,২টা ২৫ মিনিটে একটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা আসে। মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পেছনের রিকশায় ছিলেন মো. রাফি। তিনি ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেন।

মো. রাফি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে আমরা হাইকোর্টের দিকে আসছিলাম। রিকশায় ছিলাম। বিজয়নগর আসতেই একটা মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আমি ভাইয়ের পেছনের রিকশায় ছিলাম।’

এদিকে ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ