বৈভব সূর্যবংশী মাঠে নামা মানেই যেন চার–ছক্কার ঝড়, রেকর্ড বই ওলট–পালটের ঝড়। আজ দুবাইয়ে ওয়ানডে সংস্করণের অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপেও দেখা গেল এমন কিছুই।

ভারতের এই ওপেনার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে চারের চেয়ে ছক্কা বেশি মেরে শুধু বাউন্ডারি থেকেই নিয়েছেন ১২০ রান। ৯৫ বলের ইনিংসে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ১৪ ছক্কা ও ৯ চারে করেছেন মোট ১৭১ রান! সূর্যবংশীর এই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে ভারত অনূর্ধ্ব–১৯ দল।

শুরু থেকে মেরে খেলা সূর্যবংশী ফিফটিতে পৌঁছান ৩০ বলে। এই পঞ্চাশের ৪০ রানই ছিল চার–ছক্কা থেকে। সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পথে পরের ৫০ রান করেন ২৬ বলে। সব মিলিয়ে ৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেন ৫ চার ও ৯ ছক্কায়।

আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ডধারী সূর্যবংশী আজও ১৭১ রান নিয়ে একাধিক কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন। অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেটে এটিই তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে এই পর্যায়ের ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ১৪৩, চলতি বছরের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ছেলেদের অনূর্ধ্ব–১৯ ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে নবম সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেললেন সূর্যবংশী। এই তালিকার শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জোরিখ ফন শালকায়ক। চলতি বছরের জুলাইয়ে শালকায়ক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

সূর্যবংশীর সর্বোচ্চ ইনিংসের দিনে ভারতের করা ৪৩৩ ছেলেদের অনূর্ধ্ব–১৯ ওয়ানডেতে দলীয় তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ৪ উইকেটে ৪৩৬ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। ২০০২ সালে ৬ উইকেটে ৪৮০ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া, আর মাসটা জানুয়ারি।

আরও পড়ুনওয়াইড দিতে দিতে রেকর্ডে ভাগ অর্শদীপের, চার ছক্কায় বুমরাও দেখলেন নতুন কিছু৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন র ইন

এছাড়াও পড়ুন:

নিজের নির্বাচনি ব্যানার-ফেস্টুন পোড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নিজের নির্বাচনি প্রচারের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করে সেগুলো আগুনে পুড়িয়েছেন।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুরের চর ভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে নিজস্ব উদ্যোগে এ দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেন তিনি। 

তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনি ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন অপসারণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজের নির্বাচনি প্রচার সামগ্রী অপসারণ করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন রায়হান জামিল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে তাদের নির্দেশনা মানতেই আমি আমার সব নির্বাচনি ব্যানার ও ফেস্টুন নিজ হাতে সরিয়ে ফেলেছি। পরিবেশদূষণ ঠেকাতে এবং জনগণের সামনে একটি ইতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করতে আমি সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছি।”

এ ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ উদ্যোগকে নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান মানার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।

ঢাকা/তামিম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ