কাউকে না জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার সুবিধা চালু
Published: 12th, December 2025 GMT
হোয়াটসঅ্যাপে অনেক সময় ব্যবহারকারীরা এমন কিছু গ্রুপে যুক্ত হয়ে যান, যেখানে থাকতে তাঁরা আগ্রহী নন। তবে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রুপের সব সদস্যের কাছে নোটিফিকেশন চলে যায়। এতে কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে বার্তা পাঠিয়ে কারণ জানতে চান, আবার কেউ কেউ ফিরে আসার অনুরোধও করেন। এই পরিস্থিতি ব্যবহারকারীর জন্য প্রায়ই অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। এ সমস্যা সমাধানে কাউকে না জানিয়ে গ্রুপ ছাড়ার সুবিধা চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের তথ্যমতে, নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে গ্রুপ ত্যাগ করলে শুধু গ্রুপ প্রশাসকেরা বিষয়টি জানতে পারবেন। অন্য সদস্যদের কাছে কোনো নোটিফিকেশন যাবে না। ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এ সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।
নোটিশ ছাড়া গ্রুপ ছাড়তে যা করতে হবে
গ্রুপ ছাড়ার সময় ব্যবহারকারী চাইলে চ্যাট ইতিহাস স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করতে বা পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারবেন। কাউকে না জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার জন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে নির্দিষ্ট গ্রুপ চ্যাটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর গ্রুপের ওপরের অংশে থাকা গ্রুপের নামটি স্পর্শ করে নিচের দিকে স্ক্রল করার সময় ‘এক্সিট গ্রুপ’ অপশন দেখা যাবে। এটি নির্বাচনের পর দুটি বিকল্প পাওয়া যাবে। প্রথমটি হলো ‘এক্সিট গ্রুপ’। এর ফলে গ্রুপ ছাড়ার পর চ্যাট ইতিহাস ফোনে দেখা যাবে এবং গ্রুপ ছাড়ার পরও ব্যবহারকারীর চ্যাট তালিকায় থেকে যাবেন। দ্বিতীয়টি হলো ‘এক্সিট অ্যান্ড ডিলিট ফর মি’। এর ফলে গ্রুপ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চ্যাটটি সম্পূর্ণ মুছে যাবে এবং চ্যাট তালিকা ও ফোন থেকে সব বার্তা ও মিডিয়া ফাইল একসঙ্গে মুছে যাবে।
গ্রুপ ছাড়ার সময় গ্রুপের অন্য সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো নোটিফিকেশন পাবেন না। তবে গ্রুপ ত্যাগের পর ব্যবহারকারীর নাম ও ফোন নম্বর গ্রুপ তথ্যের ‘পাস্ট মেম্বারস’ তালিকায় দেখা যাবে। এটি গ্রুপ ছাড়ার পর সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে। একবার গ্রুপ ত্যাগ করার পর যদি কোনো ব্যবহারকারী আবার যুক্ত হতে চান, তবে তাঁকে গ্রুপ প্রশাসকের কাছ থেকে আবার আমন্ত্রণ নিতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত আমিনুরের মরদেহ দেশে, মির্জাপুরে দাফন
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত আমিনুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর নিজ এলাকা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে গোড়াইল কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে আমিনুর রহমানের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি পৌঁছায়। এ সময় স্বজন ও প্রতিবেশীদের কান্নার আহাজারি পড়ে যায়।
পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন আমিনুর রহমান। মাঝেমধ্যে তিনি দেশে আসতেন। ৫ ডিসেম্বর দেশটির লিম্পুপু প্রদেশের মাটিম্বোতে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ছিলেন তিনি। বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আমিনুর রহমানের ভাই আসলাম সিদ্দিকী জানান, ওই দিন রাত সোয়া ১১টায় তাঁরা আমিনুর রহমানের মৃত্যুর সংবাদ পান। তাঁদের সংসারে অসুস্থ মা, দুই ভাই, দুই বোন ছাড়া আমিনুর রহমানের স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।
আরও পড়ুনহঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়০৬ ডিসেম্বর ২০২৫আসলাম সিদ্দিকীর অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকায় আমিনুর রহমানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে একই উপজেলার আরেক ব্যক্তি কাজ করতেন। আমিনুর রহমানের অনুপস্থিতিতে সেখান থেকে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে হঠাৎ উধাও হন জাফর। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময় ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতো। কিন্তু টাকা দেওয়ার বদলে উল্টো বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হতো। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিষয়টির যোগ থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আমিনুর রহমানের জানাজায় বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রউফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম শফিকুল ইসলাম, মির্জাপুর কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আজম মৃধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনদক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত০৬ ডিসেম্বর ২০২৫