মির্জা আব্বাসকে দেখে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান
Published: 12th, December 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হাসপাতাল পৌঁছান তিনি। এ সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন ওসমান হাদির সমর্থকরা।
আরো পড়ুন:
হাদিকে দেখতে ঢামেকে শফিকুর রহমান ও মির্জা আব্বাস
মওলানা ভাসানী মজলুমদের পক্ষে ছিলেন, কখনো আপস করেননি: টুকু
জানা গেছে, মির্জা আব্বাস জরুরি বিভাগ দিয়ে সিটিস্ক্যান রুমে যাওয়ার সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন ওসমান হাদির সমর্থকরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করান।
এর আগে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি।
ঢাকা/রায়হান/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ওসম ন হ দ
এছাড়াও পড়ুন:
হাদির উপর হামলা, নির্বাচন বানচালের সুপরিকল্পিত চক্রান্ত কিনা: জামায়াত
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
হামলাটি পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির নির্বাচন বানচালের কোনো সুপরিকল্পিত চক্রান্ত কিনা- সরকারকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই একজন অন্যতম জুলাই যোদ্ধা এবং এমপি প্রার্থীর ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটি ভীতি সৃষ্টির সুস্পষ্ট অপচেষ্টা বলেই প্রতীয়মান হয়।’’
“আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি- হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ জরুরিভাবে পর্যালোচনা করতে হবে এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল প্রার্থী, দলীয়কর্মী ও সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’’
হামলাটি পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির নির্বাচন বানচালের কোনো সুপরিকল্পিত চক্রান্ত কিনা সরকারকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান গোলাম পরওয়ার।
‘‘ওসমান হাদি গত ১৩ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে জানান, ৩০টি বিদেশি নাম্বার থেকে কল ও টেক্সট করে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে,’’ বিষয়টি উল্লেখ করে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘‘দেশবাসীর কাছে এটা পরিষ্কার যে প্রশাসন তার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যা নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে গুরুতর অবহেলার শামিল। আমরা প্রশাসনের এই দায় এড়ানোর নিন্দা জানাই।”
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘‘এ ধরনের বর্বর হামলা দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিপর্যস্ত করে। আমরা আশা করি, সরকার ও প্রশাসন ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করবে।’’
এ সময় তিনি শরিফ ওসমান হাদির আরোগ্য কামনা এবং তার পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা জানান।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//