৩০০ কোটি ছাড়িয়ে দুর্বার গতিতে ‘ধুরন্ধর’...
Published: 12th, December 2025 GMT
আদিত্য ধরের অ্যাকশন থ্রিলার ছবি ‘ধুরন্ধর’ বক্স অফিসে দাপটের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। মুক্তির মাত্র সাত দিনের মধ্যেই ছবিটি ভারতে ২০০ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাপী ৩০০ কোটি টাকার মাইলফলক পার করে ফেলেছে। রণবীর সিং অভিনীত এই ছবির প্রচারণা সে রকম জোরদার করেননি নির্মাতারা। তবে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তির পর থেকেই মানুষের মুখে মুখে প্রচারণার জোরে দর্শক টানছে। আর তাতেই এই ছবির আয় দিন দিন বাড়ছে। শুধু আয়ই নয়, নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে ‘ধুরন্ধর’।
প্রায় ২৮০ কোটি রুপির বাজেটে নির্মিত ‘ধুরন্ধর’ ইতিমধ্যেই নির্মাণ ব্যয় তুলে ফেলেছে। এখন নিশ্চিত মুনাফার পথে হাঁটছে আদিত্যর এই ছবি। ট্রেড অ্যানালিস্টদের ধারণার তুলনায় ছবির সংগ্রহ অনেক বেশি।
সপ্তম দিনের আয়
ট্রেড পোর্টাল স্যাকনিল্কের তথ্য অনুযায়ী, মুক্তির সপ্তম দিনে ‘ধুরন্ধর’ আয় করেছে ২৭ কোটি রুপি। এর ফলে ভারতে ছবিটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২০৭ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে। তিন দিন ধরে ছবির আয়ের অঙ্ক একই ছিল। পরপর তিন দিন ‘ধুরন্ধর’ ২৭ কোটি রুপি করে ব্যবসা করেছে। প্রথম সোমবারে যদিও আয় ৪৫ শতাংশের বেশি কমে গিয়েছিল, কিন্তু পরদিনই আবার তা বেড়ে ১৬ শতাংশের বেশি লাফ দেয়। কর্মদিবস হওয়ায় সারা দিনে দর্শক কম থাকলেও রাতের শোগুলোতে দারুণ ভিড় দেখা যাচ্ছে। সকালের শোগুলোতে ১৮ শতাংশের বেশি দর্শক আসন পূর্ণ। রাতের শোগুলোতে তা বেড়ে প্রায় ৬০ শতাংশে পৌঁছে গেছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনি পরিবেশে এমন সহিংস হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
আহত ওসমান হাদির সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা এবং প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। দোষীরা যে-ই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক পক্ষ, কর্মী-সমর্থক এবং নাগরিকদের প্রতি শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরাপদ পরিবেশে হতে পারে।
ঢাকা/রফিক