শতভাগ সেলিব্রিটি ক্রিমখোর: আসিফ
Published: 12th, December 2025 GMT
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। গানের মানুষ হলেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই শিল্পী। কয়েক দিন আগে একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এ আলাপচারিতায় শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে কথা বলেন আসিফ।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালক আসিফের একটি লেখা উল্লেখ করেন। সঞ্চালক বলেন, “আপনার ছোট একটা লেখার কথা মনে আছে। যেখানে আপনি লিখেছিলেন—‘আমি উট পাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে, অন্য সেলিব্রিটিদের মতো সব আমলের ক্রিম খাই না, সম্ভবও না।’ এই দেশের অনেক সেলিব্রিটি…।” সঞ্চালকের কথা শেষ হওয়ার আগেই আসিফ আকবর বলেন, “অনেক না, প্রায় শতভাগ সেলিব্রিটি ক্রিমখোর। এটা নিঃসন্দেহে। কিছু আছে পাগলছাগল। তারা কাউরে গোনে না, চিনেও না, এটা ভালো।”
আরো পড়ুন:
‘তুমিহীনা’ গানে ভিন্ন নদী
আফগান সীমান্তের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের ৬ সেনা নিহত
ব্যাখ্যা করে আসিফ আকবর বলেন, “কিন্তু পলিটিক্যাল বেনিফিট। ‘আই অ্যাম নট পলিটিশিয়ান, অ্যাই ডোন্ট লাইক পলিটিকস, আই হেট পলিটিকস’—এসব বলেন তারা। একটু আগে যে নায়কের কথা বললে। আমাদের লম্বা চুলের হিরো। সে কোথায় যায় না, সব জায়গায় তেল মারে। আমার কাছে ছবিও আছে। তাদের নৈতিকতা তাদের কাছে। কিন্তু আমার স্টাইল হলো—আমি ভেঙে যাব, তবু মছকাব না। নৈতিক-আদর্শিক ইস্যুকে মেইনটেইন করতে হবে।”
সঞ্চালকের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আসিফ আকবর বলেন, “একটা জীবনে তুমি কী চাও? তোমার ভালো কাজ নিয়ে চর্চাই তো হবে! খারাপ কাজ তো বেশি দিন টিকবে না। খারাপ কাজ নিয়ে মানুষ আলাপ করবে না। মৃত্যুর পর খোঁজে খোঁজে তোমার ভালো কাজ নিয়ে মানুষ আলাপ করবে। মৃত্যুর জন্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হয় এবং মৃত্যুর পরে যে চর্চা হয় সেটাই আসল চর্চা।”
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসঙ্গ টেনে আসিফ আকবর বলেন, “সোশ্যাল সাইট আসার পর থেকে তো একটা অস্থিরতা চলছে। বিষয়টা এমন যে, একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মালিক মানে, একটা টিভি চ্যানেলের মালিক। সুতরাং মানুষ বলতেই থাকবে। কিন্তু তুমি কে, তুমি কী, তুমি কীভাবে চলছো, কোথায় তোমাকে থামতে হবে—এটা ‘নো দাই সেলফ’ অর্থাৎ নিজেকে চেনা।”
“নিজেকে চেনার ব্যাপারটা আমার জন্য যথেষ্ট আছে। আমি যদি ভুল করি, দ্রুত তা সংশোধন করে ফেলি। এটা নিজে থেকে করে ফেলি। আর যেটা ভুল না, সেটা নিয়ে এক জীবন পার করব। কারণ আমি জানি এটা ভুল না। একসময় তোমাকে এখানে আসতেই হবে।” বলেন আসিফ আকবর।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিরোপা উদযাপনে বগুড়ায় থেকে গিয়েছিলেন আকবররা
মধুর সমস্যা যাকে বলে সেটাই হয়েছে আকবর আলীদের সঙ্গে। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ চারদিনের ম্যাচ তিনদিনেই তারা জিতে নিয়েছে। খুলনা বিভাগকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে শিরোপা জয়ের কাজটা করে রেখেছে।
শিরোপা নিশ্চিত হতে তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরো একদিন। সচরাচর যেটা হয়, ম্যাচের পর ক্রিকেটাররা যার যার মতো করে বাসায় ফিরে যান। জাতীয় ক্রিকেট লিগের লম্বা টুর্নামেন্ট খেলে ক্রিকেটাররা ছিলেন ক্লান্ত। কিন্তু রংপুরের শিরোপা জয়ের সুযোগ থাকায় আকবরদের বাড়তি একদিন অপেক্ষা করতে হয় বগুড়ায়।
আরো পড়ুন:
টি-টোয়েন্টির পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও চ্যাম্পিয়ন রংপুর
জাতীয় ক্রিকেট লিগ: শেষ রাউন্ডে শিরোপার ফয়সালা
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হোটেলে কাটিয়েছেন তারা। শেষ বিকেলে ফিরেছেন মাঠে? গায়ে সাদা জার্সি, মাথায় ক্যাপ, পায়ে কেডস পরে আবার মাঠে নেমেছিলেন। কেন? শিরোপা উদযাপনে।
রাইজিংবিডিকে সেই গল্প শোনালেন আকবর, ‘‘আমরা কালকে জয়ের পর বগুড়ায় থেকে গিয়েছিলাম। আমাদের টুর্নামেন্ট জেতার সুযোগ আছে বলে আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। পুরো দলই আজ শিরোপার জন্য অপেক্ষা করছিল। এটা দারুণ। এরকমটা আগে হয়নি। আগে তো খেলা শেষেই চলে যেতাম।’’ - আকবর বলছিলেন আর হাসছিলেন।
আকবরদের শিরোপা জয়ের বাঁধা হয়ে ছিল দুই দল। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ। মঙ্গলবার সাত সকালেই সিলেটে ময়মনসিংহ বিভাগ হেরে যায় রাজশাহী বিভাগের কাছে। আকবরদের সামনে তখন কেবল সিলেটের বাঁধা। যদি রাজশাহীতে সিলেট বরিশালকে হারাতে পারে তাহলে তারা শিরোপা জিতবে। আকবররা হবে রানার্সআপ।
সকালের সেশনের পরপরই রংপুর বুঝে গিয়েছিল শিরোপা তাদের হতে চলছে। কেননা বরিশালের ওপেনার ইফতির সেঞ্চুরিতে তখন লিড তিনশ পেরিয়ে। শেষ দুই সেশনে সিলেট এই রান তাড়া করতে পারবে না ধরেই নেওয়া হচ্ছিল। সেভাবেই শুরু হয় আয়োজকদের প্রস্তুতি। রংপুরেরও অপেক্ষা ফুরানোর পালা।
বিকেল ৪টা ৬ মিনিটে সিলেট ও বরিশালের ম্যাচ ড্র হয়। সিলেট ২৮ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ। ৩১ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন রংপুর। রংপুর শিরোপা উল্লাস করে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে। রাজশাহীতে মুশফিকুর-জাকিরদের হাতে রানার্সআপ ট্রফি।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল