কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে এমপিপ্রার্থী হিসেবে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক। কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। একইসঙ্গে বয়সের কারণে ওসমান ফারুক শারীরিক ও মানসিকভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারছেন না বা অক্ষম হয়ে পড়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এ অবস্থায় জাহাঙ্গীর মোল্লা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পরাজয় ঠেকাতে তাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানান। 

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ ও দাবি করেন তিনি।

এ সময় জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, ‘‘এক এগারোর কালো অধ্যায়ের সময় ড.

এম ওসমান ফারুকের বিতর্কিত ভূমিকা নেতাকর্মীদের হতাশ করেছিল। এ কারণে পরের নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। পরে দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসজীবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। দলের কঠিন সময়েও তিনি দলের কোনো পর্যায়ে ভূমিকা রাখেননি। সম্প্রতি মনোয়ন পাওয়ার পর তিনি মাত্র ছয়দিন এলাকায় ছিলেন। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি কোথাও যেতে পারেন না। নেতাকর্মীদের চিনতে পর্যন্ত পারেন না। এভাবে চলতে থাকলে এ আসনে বিএনপি নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে পড়বে। কাজেই এ মনোনয়ন পরিবর্তন করতে হবে। তার পরিবর্ততে আমাকে মনোয়ন দেওয়া হলে আমি নিশ্চিত এ আসনে বিএনপি জয়ী হবে।’’

সংবাদ সম্মেলন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিউজ্জামান, জেলা যুবদল নেতা রুহুল আমিন খসরু, বিএনপি নেতা শাহ হেদায়েত উল্লাহ, তাজুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, ইসমাইল সিরাজী প্রমুখ। 

ঢাকা/রুমন//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কব’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ উসমান হাদিকে গুলি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এ বিক্ষোভে অংশ নেন চাকসু নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। 

আরো পড়ুন:

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাসিনার পক্ষ নেওয়া শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতির দাবি

দেশের মানুষ আর কোনো নব্য স্বৈরাচারকে দেখতে চায় না: চাকসু ভিপি

বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে ‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কব, ‘হাদি ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

চাকসু জিএস সাঈদ বিন হাবিব বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্রে আগামী নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ সকল কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তারা আমাদের ভাইদের হত্যা করার জন্য বিভিন্ন নীলনকশা করেছে। দেশের ছাত্র-জনতা তাদের বিরুদ্ধে আবারো রাজপথে ঝাপিয়ে পড়ব।”

চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে হাদিকে চিনি না। পুরো বাংলাদেশের মানুষ চিনে তার আন্দোলন এবং সংগ্রামের জন্য। যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। আমরা মনে করি, এই হামলার সাথে প্রশাসনের একটি অংশ জড়িত আছে। অতি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা জনগণকে নিয়ে পুনরায় আন্দোলনে নামব।”

ঢাকা/মিজানুর/জান্নাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ