কিছুদিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন আসনে জনসংযোগের পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প, শীতবস্ত্র বিতরণের মতো নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে নির্বাচনের তফসিল হওয়ায় সেই কর্মসূচিগুলো স্থগিত ঘোষণা করেছে দলটি।

আজ শুক্রবার জামায়াতের মিডিয়া বিভাগ থেকে পূর্বনির্ধারিত সব কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানানো হয়। তার এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন।

জামায়াতের আগের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর কাফরুলের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, সাড়ে ৯টায় মিরপুর-১ নম্বরের ঈদগাহ মাঠে ঢাকা-১৪ আসনের গণসমাবেশ এবং বেলা আড়াইটায় বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ঢাকা-৭ আসনের জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলীয় আমির শফিকুর রহমানের।

এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় মধুবাগ মাঠে ঢাকা-১২ আসনের গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন এবং সকাল ১০টায় শ্যামলী স্কয়ারের সামনে থেকে ঢাকা-১৩ আসনের গণমিছিলে অংশ নেওয়ার কথা ছিল জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও এই আসনের প্রার্থী মো.

মোবারক হোসাইনের।

তবে এই কর্মসূচিগুলোর কোনোটিই হয়নি। আগামীকাল শনিবারের কর্মসূচিগুলোও স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া জামায়াত নেতাদের নির্বাচনের প্রচারমূলক পোস্টারও সরিয়ে নিতে দেখা গেছে দলটির নেতা–কর্মীদের।

নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতেই এই পদক্ষপ বলে জানান জামায়াতের নেতারা। আচরণবিধির ১৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের ৩ (তিন) সপ্তাহ আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।

জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত আমিরের কর্মসূচিগুলো ছিল পূর্বনির্ধারিত। সে কারণে সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। তবে তফসিল ঘোষণার পরে আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবারের সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নির্বাচনী আচরণবিধির ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ভোটের প্রচারে কোনো ধরনের পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। কোনো স্থাপনা কিংবা যানবাহনে কোনো প্রকার লিফলেট বা হ্যান্ডবিলও সাঁটানো যাবে না।

এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এগুলো তফসিলের পরপরই সরিয়ে ফেলতে হবে। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কিছু বলার আগে জামায়াত নিজস্ব উদ্যোগে সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছে। জামায়াতের আমিরের নির্দেশনায় তা করা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আচরণব ধ তফস ল আসন র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন আচরণবিধি অনুসারে মাসুদুজ্জামানের ব্যানার-পোস্টার অপসারণ

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে নারায়নগঞ্জ- ৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকায় বিদ্যমান সকল প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের পদক্ষেপ নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপনে বলেছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উক্ত নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীগণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনি ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিগণকে তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা নির্বাচন আচরণ বিধির প্রতি পূর্ণ সম্মান ও সমর্থন জানিয়ে মাসুদুজ্জামানের যাবতীয় প্রচারণামূলক ব্যানার ফেস্টুন নিজস্ব খরচে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সকল স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এখন থেকে নির্বাচন বিধি অনুযায়ী ব্যানার-ফেস্টুন ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য যে, আজকের পর থেকে মাসুদুজ্জামানের নামে ভিন্ন কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়মবহির্ভূত ব্যানার পোস্টার প্রিন্ট করে প্রদর্শন করলে তার দায়ভার মাসুদুজ্জামানের ওপর বর্তাবে না। বরং নির্দিষ্ট ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানই তার দায় বহন করবেন।

এ প্রসঙ্গে মাসুদুজ্জামান বলেন “আমার দল ও আমি আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করি। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে নির্বাচন আচরণবিধির প্রতিটি দিক আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করছি এবং এগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সতর্ক আছি।

কারণ, আমরা বিশ্বাস করি যে একটি জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসকল নির্দেশনা পালন করলে জনগণের আস্থা বজায় থাকবে এবং নাগরিকদের জীবনে বাড়তি বিড়ম্বনা সৃষ্টি হবে না।”

নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঘোষিত নির্বাচন আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য মাসুদুজ্জামান প্রতিশ্রুতিশীল ভুমিকা পালন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজের হাতে নিজের পোস্টার ছিড়লেন শিশির মনির
  • নির্বাচন আচরণবিধি অনুসারে মাসুদুজ্জামানের ব্যানার-পোস্টার অপসারণ
  • ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে জনপ্রশাসনকে চিঠি পাঠালো ইসি
  • ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ