পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে: প্রেস সচিব
Published: 12th, December 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আমাদের সবার দায়িত্ব একটি সুন্দর নির্বাচন করা। দেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে।’
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরিফ জিয়ারতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে আছেন। নির্বাচন করা নিয়ে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ নেই। যাঁরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করবেন, আইন হাতে তুলে নেবেন, তাঁদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। অনেকে অবৈধ দাবি নিয়ে মাঠে নামতে চাইছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও এ সরকার কঠোর হবে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সচিবালয় থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারবে না মন্তব্য করে প্রেস সচিব বলেন, ‘মানুষ স্বৈরাচারের সাড়ে ১৫ বছর একটা ভালো নির্বাচন পাননি। সে জন্য নির্বাচন করতে ও ভোট দিতে সবাই অপেক্ষা করছেন। স্বৈরাচারের যে দল তারই নির্বাচন থেকে তাদের বের করে দিয়েছে। একটা দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে গণতান্ত্রিকভাবে। কিন্তু তারা তো তা করেনি। তারা তাদের কর্মী ও তাদের সরকার রাইফেল, পিস্তল নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের মেরেছে। তারা নেশায় মত্ত হয়ে গিয়েছিল। তারা ভেবেছিল, খুন করলেই ক্ষমতায় থাকা যায়। তারা আরও ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ একটি টেররিস্টের দল। তারাই তাদের টেররিস্ট বানিয়েছে।’
জাতীয় নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের গুঞ্জনের বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে প্রেস সচিব কোনো উত্তর দেননি। তিনি এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোটার হওয়া–সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। ওনার (তারেক রহমান) দল রয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে তা ঠিক করবেন। নির্বাচন কমিশনের অনেকগুলো নিয়ম রয়েছে, তারা তা যাচাই-বাছাই করবেন।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করার যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের আমরা আহ্বান করেছি। অনেকেই আসছে, সাড়া দিয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের খুব ভালো বন্ধু। তারা একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শতভাগ সেলিব্রিটি ক্রিমখোর: আসিফ
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। গানের মানুষ হলেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই শিল্পী। কয়েক দিন আগে একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এ আলাপচারিতায় শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে কথা বলেন আসিফ।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালক আসিফের একটি লেখা উল্লেখ করেন। সঞ্চালক বলেন, “আপনার ছোট একটা লেখার কথা মনে আছে। যেখানে আপনি লিখেছিলেন—‘আমি উট পাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে, অন্য সেলিব্রিটিদের মতো সব আমলের ক্রিম খাই না, সম্ভবও না।’ এই দেশের অনেক সেলিব্রিটি…।” সঞ্চালকের কথা শেষ হওয়ার আগেই আসিফ আকবর বলেন, “অনেক না, প্রায় শতভাগ সেলিব্রিটি ক্রিমখোর। এটা নিঃসন্দেহে। কিছু আছে পাগলছাগল। তারা কাউরে গোনে না, চিনেও না, এটা ভালো।”
আরো পড়ুন:
‘তুমিহীনা’ গানে ভিন্ন নদী
আফগান সীমান্তের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের ৬ সেনা নিহত
ব্যাখ্যা করে আসিফ আকবর বলেন, “কিন্তু পলিটিক্যাল বেনিফিট। ‘আই অ্যাম নট পলিটিশিয়ান, অ্যাই ডোন্ট লাইক পলিটিকস, আই হেট পলিটিকস’—এসব বলেন তারা। একটু আগে যে নায়কের কথা বললে। আমাদের লম্বা চুলের হিরো। সে কোথায় যায় না, সব জায়গায় তেল মারে। আমার কাছে ছবিও আছে। তাদের নৈতিকতা তাদের কাছে। কিন্তু আমার স্টাইল হলো—আমি ভেঙে যাব, তবু মছকাব না। নৈতিক-আদর্শিক ইস্যুকে মেইনটেইন করতে হবে।”
সঞ্চালকের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আসিফ আকবর বলেন, “একটা জীবনে তুমি কী চাও? তোমার ভালো কাজ নিয়ে চর্চাই তো হবে! খারাপ কাজ তো বেশি দিন টিকবে না। খারাপ কাজ নিয়ে মানুষ আলাপ করবে না। মৃত্যুর পর খোঁজে খোঁজে তোমার ভালো কাজ নিয়ে মানুষ আলাপ করবে। মৃত্যুর জন্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হয় এবং মৃত্যুর পরে যে চর্চা হয় সেটাই আসল চর্চা।”
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসঙ্গ টেনে আসিফ আকবর বলেন, “সোশ্যাল সাইট আসার পর থেকে তো একটা অস্থিরতা চলছে। বিষয়টা এমন যে, একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মালিক মানে, একটা টিভি চ্যানেলের মালিক। সুতরাং মানুষ বলতেই থাকবে। কিন্তু তুমি কে, তুমি কী, তুমি কীভাবে চলছো, কোথায় তোমাকে থামতে হবে—এটা ‘নো দাই সেলফ’ অর্থাৎ নিজেকে চেনা।”
“নিজেকে চেনার ব্যাপারটা আমার জন্য যথেষ্ট আছে। আমি যদি ভুল করি, দ্রুত তা সংশোধন করে ফেলি। এটা নিজে থেকে করে ফেলি। আর যেটা ভুল না, সেটা নিয়ে এক জীবন পার করব। কারণ আমি জানি এটা ভুল না। একসময় তোমাকে এখানে আসতেই হবে।” বলেন আসিফ আকবর।
ঢাকা/শান্ত