হাদিকে গুলিবর্ষণের নিন্দা, সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি মির্জা ফখরুলের
Published: 12th, December 2025 GMT
ঢাকায় সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনে সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করার পর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অবিলম্বে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করে নিয়ে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি এবং এই সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’
জুলাই অভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠা আলোচিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন। আজ দুপুরে বিজয়নগরে একটি মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। হাদি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ‘লাইফ সাপোর্টে’ রয়েছেন।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিনই এই হামলাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি একটা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি যে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য সেই শক্তি আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে দেখেছেন, চট্টগ্রামে আমাদের একজন ক্যান্ডিডেটকে গুলি করেছিল।’
নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসমুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি যে এটা চক্রান্তের অংশ। এটাকে এখনই বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
সম্ভাব্য প্রার্থী হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
আমি একটা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি যে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য সেই শক্তি আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে দেখেছেন, চট্টগ্রামে আমাদের একজন ক্যান্ডিডেটকে গুলি করেছিল। —মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব, বিএনপিনির্বাচনের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট আছে যে এই নির্বাচন এবং নির্বাচনের পরে আমরা সকল দলকে নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করব, সে ব্যাপারে আমাদের কমিটমেন্ট শক্তিশালী রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকেই রায় দেবেন। এখানে আমরা মনে করি উগ্রতার স্থান থাকবে না।’
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল মাওলানা ভাসানীকে স্মরণ করে বলেন, ‘মাওলানা ভাসানীর নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা—এক অনন্য রাজনৈতিক চরিত্র। ধর্ম ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে তিনি কোনো বিভেদ দেখেননি। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্র।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলু। বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব আবু ইউসুফ সেলিমসহ অন্য নেতারা।
আরও পড়ুনওসমান হাদি ‘লাইফ সাপোর্টে’: ঢাকা মেডিকেলের পরিচালকের দপ্তর২ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনদেশ অত্যন্ত সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে: তারেক রহমান১০ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহ ব ন জ ন আম দ র ফখর ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
হাদিকে গুলিবর্ষণের নিন্দা, সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি মির্জা ফখরুলের
ঢাকায় সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনে সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করার পর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অবিলম্বে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করে নিয়ে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি এবং এই সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’
জুলাই অভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠা আলোচিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন। আজ দুপুরে বিজয়নগরে একটি মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। হাদি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ‘লাইফ সাপোর্টে’ রয়েছেন।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিনই এই হামলাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি একটা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি যে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য সেই শক্তি আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে দেখেছেন, চট্টগ্রামে আমাদের একজন ক্যান্ডিডেটকে গুলি করেছিল।’
নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসমুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি যে এটা চক্রান্তের অংশ। এটাকে এখনই বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
সম্ভাব্য প্রার্থী হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
আমি একটা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি যে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য সেই শক্তি আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে দেখেছেন, চট্টগ্রামে আমাদের একজন ক্যান্ডিডেটকে গুলি করেছিল। —মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব, বিএনপিনির্বাচনের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট আছে যে এই নির্বাচন এবং নির্বাচনের পরে আমরা সকল দলকে নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করব, সে ব্যাপারে আমাদের কমিটমেন্ট শক্তিশালী রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকেই রায় দেবেন। এখানে আমরা মনে করি উগ্রতার স্থান থাকবে না।’
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল মাওলানা ভাসানীকে স্মরণ করে বলেন, ‘মাওলানা ভাসানীর নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা—এক অনন্য রাজনৈতিক চরিত্র। ধর্ম ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে তিনি কোনো বিভেদ দেখেননি। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্র।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলু। বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব আবু ইউসুফ সেলিমসহ অন্য নেতারা।
আরও পড়ুনওসমান হাদি ‘লাইফ সাপোর্টে’: ঢাকা মেডিকেলের পরিচালকের দপ্তর২ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনদেশ অত্যন্ত সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে: তারেক রহমান১০ মিনিট আগে