রাজধানীর বিজয়নগর কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। দুজন মোটরসাইকেলে এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রিকশায় লুটিয়ে পড়েন হাদি।  পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। 

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাদীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সংস্থা কাজ করছে। তবে কারা হাদিকে গুলি করেছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তে কাজ করছি।’’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাদিকে যখন আনা হয় তখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এ কারণে সঙ্গে সঙ্গে তাকে সিপিয়ার দেওয়া হয়েছে। তবে তার মাথার ভেতর গুলি আছে ও কানের পাশে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনই তার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। 

শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা ৮ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।  

ঢাকা/এমআর//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসা নিতে পারছেন খালেদা জিয়া, গুজব ছড়াবেন না: জাহিদ

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো ডাক্তারদের চিকিৎসা নিতে পারছেন। তাই অতি আবেগের বশবর্তী হয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালে সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে: তারেক রহমান 

নির্বাচন ঘিরে সরগরম কেরাণীগঞ্জের রাজনীতি

ডা. জাহিদ বলেন, “আউসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেগম জিয়া। সংকটাপন্ন মানুষের যে চিকিৎসা প্রয়োজন তার মধ্যেই রয়েছেন তিনি। দেশেই বেগম খালেদা চিকিৎসায় সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে মেডিকেল বোর্ড। এখনই তাকে বিদেশে নেওয়া হচ্ছে  না। কিন্তু যেকোনো প্রয়োজনে দেশের বাইরে নেওয়া হতে পারে।”

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ডাক্তারদের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “ম্যাডাম (বেগম জিয়া) একজন রোগী, তার সম্পর্কে সব কিছু প্রকাশ্যে বলা পারমিট করে না। যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেটাতে তিনি সাড়া দিচ্ছেন।”

বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক বলেন, “চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেডিকেল বোর্ডে বিভিন্ন দেশের চিকিৎসক থাকায় বোর্ডের সভা রাতে করতে হয়। চিকিৎসকরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। ডা. জুবাইদা রহমানও যুক্ত রয়েছেন।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে অনেক কথা বলা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ স্বাভাবিক, তবে অতি আবেগের বশবর্তী হয়ে কেউ গুজব ছড়াবেন না।”

দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন বেগম খালেদা জিয়া। গত বছরের ৫ আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপাসনকে।

ঢাকা/আলী/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিকিৎসা নিতে পারছেন খালেদা জিয়া, গুজব ছড়াবেন না: জাহিদ