বিদেশে পড়ার জন্য জরুরি এসওপি কী, কীভাবে লিখতে হয়
Published: 26th, October 2025 GMT
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তির আবেদনের জন্য ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ (এসওপি), অর্থাৎ অভীষ্ট লক্ষ্যের বিবৃতি লিখতে হয়। স্টেটমেন্ট অব পারপাসকে আগ্রহপত্র বা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যের পরিকল্পনা ও ভাবনা বর্ণনাপত্রও বলা যায়।
কেন পড়ব, কী পড়ব, কোন কারণে পড়তে চাই, কী গবেষণা করব, গবেষণার সঙ্গে নিজেকে কীভাবে সম্পৃক্ত করব—এসব বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখতে হয় এসওপিতে। স্টেটমেন্ট অব পারপাসকে লেটার অব ইনটেন্ট বা রিসার্চ স্টেটমেন্টও বলা হয়।
এসওপির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা। গবেষণাধর্মী প্রোগ্রাম যেমন পিএইচডি ও বিভিন্ন মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য এসওপিতে অতীতের গবেষণা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা লিখতে হয়।
পেশা-সংশ্লিষ্ট স্নাতক কোর্সের জন্য এসওপিতে অতীতের কাজের সঙ্গে পড়াশোনার সম্পর্ক ও ভবিষ্যতে কীভাবে পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা পেশা খাতে যুক্ত করা যাবে, সেটি উল্লেখ করতে হয়। এককথায়, এসওপিতে আপনি কেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জন্য উপযুক্ত, তা-ই লিখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা কীভাবে আপনার আগ্রহ ও গবেষণার জন্য কাজে আসবে, লিখতে হবে তা-ও।
আরও পড়ুনজিআরই পরীক্ষায় ৩৪০-এ ৩৪০–ই পেয়েছেন তানভীর, কীভাবে এত ভালো করলেন১২ ঘণ্টা আগেএসওপিতে যা থাকবেদারুণ একটি এসওপি উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে বেশ কার্যকর। এসওপি হুবহু কখনোই অনুকরণ করে লেখা ঠিক না। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হবে।
একটি দারুণ ও কার্যকর এসওপিতে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নভাবে আপনি কোন বিষয়ে পড়বেন এবং এই শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আপনি কী প্রত্যাশা করছেন, তা লিখতে হয়। আপনি কোন কোন বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী, তা স্পষ্ট করে গুছিয়ে লিখতে হবে।
আপনাকে অবশ্যই যতটা সম্ভব সুনির্দিষ্টভাবে কোন কোন বিষয় আপনার আগ্রহ তৈরি করে, তা লিখতে হবে। বিভিন্ন ঘটনা বা পরিস্থিতির মাধ্যমে আপনি আপনার আগ্রহের চিত্র লেখার মাধ্যমে তুলে আনতে পারেন। আপনার আগ্রহের চিত্র যদি অস্পষ্ট হয় তাহলে ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।
থিসিস গবেষণা, বিভিন্ন প্রকল্প, প্রকাশিত নিবন্ধ, প্রেজেন্টেশন, যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কিন্তু সংক্ষিপ্ত ধারণা গল্পের মতো করে লিখতে হবে এসওপিতে। পুরো লেখাটি এক সুতোয় বাঁধতে হবে।
এসওপির ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হচ্ছে, আপনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন গবেষণা বা বিভাগের জন্য উপযুক্ত, তা স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। এসওপির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, আপনি সংশ্লিষ্ট কোর্স বা গবেষণায় কতটা আগ্রহী।
কেন পড়ব, কী পড়ব, কোন কারণে পড়তে চাই, কী গবেষণা করব, গবেষণার সঙ্গে নিজেকে কীভাবে সম্পৃক্ত করব—এসব বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখতে হয় এসওপিতে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ট টম ন ট এসওপ ত র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশে পড়ার জন্য জরুরি এসওপি কী, কীভাবে লিখতে হয়
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তির আবেদনের জন্য ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ (এসওপি), অর্থাৎ অভীষ্ট লক্ষ্যের বিবৃতি লিখতে হয়। স্টেটমেন্ট অব পারপাসকে আগ্রহপত্র বা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যের পরিকল্পনা ও ভাবনা বর্ণনাপত্রও বলা যায়।
কেন পড়ব, কী পড়ব, কোন কারণে পড়তে চাই, কী গবেষণা করব, গবেষণার সঙ্গে নিজেকে কীভাবে সম্পৃক্ত করব—এসব বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখতে হয় এসওপিতে। স্টেটমেন্ট অব পারপাসকে লেটার অব ইনটেন্ট বা রিসার্চ স্টেটমেন্টও বলা হয়।
এসওপির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা। গবেষণাধর্মী প্রোগ্রাম যেমন পিএইচডি ও বিভিন্ন মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য এসওপিতে অতীতের গবেষণা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা লিখতে হয়।
পেশা-সংশ্লিষ্ট স্নাতক কোর্সের জন্য এসওপিতে অতীতের কাজের সঙ্গে পড়াশোনার সম্পর্ক ও ভবিষ্যতে কীভাবে পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা পেশা খাতে যুক্ত করা যাবে, সেটি উল্লেখ করতে হয়। এককথায়, এসওপিতে আপনি কেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জন্য উপযুক্ত, তা-ই লিখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা কীভাবে আপনার আগ্রহ ও গবেষণার জন্য কাজে আসবে, লিখতে হবে তা-ও।
আরও পড়ুনজিআরই পরীক্ষায় ৩৪০-এ ৩৪০–ই পেয়েছেন তানভীর, কীভাবে এত ভালো করলেন১২ ঘণ্টা আগেএসওপিতে যা থাকবেদারুণ একটি এসওপি উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে বেশ কার্যকর। এসওপি হুবহু কখনোই অনুকরণ করে লেখা ঠিক না। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হবে।
একটি দারুণ ও কার্যকর এসওপিতে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নভাবে আপনি কোন বিষয়ে পড়বেন এবং এই শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আপনি কী প্রত্যাশা করছেন, তা লিখতে হয়। আপনি কোন কোন বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী, তা স্পষ্ট করে গুছিয়ে লিখতে হবে।
আপনাকে অবশ্যই যতটা সম্ভব সুনির্দিষ্টভাবে কোন কোন বিষয় আপনার আগ্রহ তৈরি করে, তা লিখতে হবে। বিভিন্ন ঘটনা বা পরিস্থিতির মাধ্যমে আপনি আপনার আগ্রহের চিত্র লেখার মাধ্যমে তুলে আনতে পারেন। আপনার আগ্রহের চিত্র যদি অস্পষ্ট হয় তাহলে ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।
থিসিস গবেষণা, বিভিন্ন প্রকল্প, প্রকাশিত নিবন্ধ, প্রেজেন্টেশন, যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কিন্তু সংক্ষিপ্ত ধারণা গল্পের মতো করে লিখতে হবে এসওপিতে। পুরো লেখাটি এক সুতোয় বাঁধতে হবে।
এসওপির ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হচ্ছে, আপনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন গবেষণা বা বিভাগের জন্য উপযুক্ত, তা স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। এসওপির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, আপনি সংশ্লিষ্ট কোর্স বা গবেষণায় কতটা আগ্রহী।
কেন পড়ব, কী পড়ব, কোন কারণে পড়তে চাই, কী গবেষণা করব, গবেষণার সঙ্গে নিজেকে কীভাবে সম্পৃক্ত করব—এসব বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখতে হয় এসওপিতে