কুমিল্লা নগরের বাসিন্দাদের কাছে যানজট বর্তমানে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত যানজটে থমকে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা; সড়কে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। এমন পরিস্থিতি যানজটমুক্ত কুমিল্লা চেয়ে নগরে বিক্ষোভ–সমাবেশ হয়েছে। এ সময় কুমিল্লা নগরের যানজট সমস্যা সমাধানে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। সমাবেশ থেকে বলা হয়েছে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করতে হবে। তা না হলে কুমিল্লার মানুষ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে ‘যানজট মুক্ত কুমিল্লা চাই’ এই ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে কুমিল্লা নগরে যানজট নিরসনে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী মুহাম্মদ রাশেদুল হাসান।

১০ দফা দাবি দাবির মধ্যে রয়েছে, কুমিল্লা নগরে সীমিতসংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিশকা এবং মিশুক চলতে পারবে এবং তাদের চিহ্নিত করতে নির্দিষ্ট পোশাক ও আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে। প্রত্যেক সড়কের দূরত্বের ভাড়া প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারণ করে চার্ট আকারে প্রকাশ করতে হবে। নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং প্রয়োজনে ট্রাফিক সহায়তাকারী নিয়োগ প্রদান করতে হবে। অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাত দখল স্থায়ীভাবে অপসারণ করতে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটার ব্যতীত কেউ অটোরিকশা বা মিশুকের মালিক হতে পারবে না এবং একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ একটি অটোরিকশা বা মিশুকের মালিক হতে পারবেন। নির্ধারিত অটোরিকশা এবং মিশুক নিদিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করাবে; প্রয়োজনে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। চিহ্নিত পোশাক পরা অটোরিকশা এবং মিশুক চালকদের প্রশাসন কর্তৃক অহেতুক ভোগান্তি করা যাবে না। চুরি ও ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের টহল টিম বাড়াতে হবে। শহরের যেসব সড়কের অবস্থা বেহাল, সেসব সড়ক দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করাতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মাঠপর্যায়ে দাবিগুলোর স্থায়ীভাবে বাস্তবায়ন দৃশ্যমান না হলে বা প্রশাসনের দেওয়া যেকোনো অঙ্গীকার ভঙ্গ হলে সচেতন সমাজ যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। কঠোর পদক্ষেপের কারণে নগরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে এর দায়ভার সম্পূর্ণরূপে কুমিল্লার প্রশাসনকেই নিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে কুমিল্লা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা মোজাহিদ চৌধুরী জানান, কুমিল্লা নগরে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যানজট এখন কুমিল্লার মানুষের নিত্যদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, রোগী ও সাধারণ নাগরিকেরা প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে কুমিল্লার মানুষ এখন রাস্তায় নেমে এসেছে। অবিলম্বে যানজট সমস্যার সমাধান করতে হবে। অবস্থা দেখে মনে হয় না এই নগরে মানুষের দুর্ভোগ দেখার মতো কেউ আছেন।

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক বলেন, কুমিল্লা নগরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মিশুকের অবাধ চলাচল, অবৈধ পার্কিং এবং বেহাল রাস্তাঘাটের কারণে যানজটের সমস্যা দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। দীর্ঘদিন ধরে নগরের  সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগের তেমন কোনো চেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। যানজট আর ফুটপাত দখলে কুমিল্লার মানুষ এখন অতিষ্ঠ। মানুষের হাঁটাচলার জায়গাটুকুও নেই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো.

শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যানজট সমস্যা সমাধানে নগরবাসীর পক্ষে ১০ দফা দাবির একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি নিজেও দাবিগুলোর সঙ্গে একমত। এরই মধ্যে আমরা নগরের যানজট সমস্যা সমাধানে বেশকিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে আরও আট থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। নগরের যানজট দূর করতে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর হবো। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নগরবাসীর স্বস্তি ফেরানো।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট সমস য নগর র য ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্ব হারাতে পারেন বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, ভারতীয় বংশোদ্ভূতসহ ৯০ লাখ মানুষ

যুক্তরাজ্যে দেশটির কর্তৃপক্ষের নাগরিকত্ব বাতিলের ‘চরম ও গোপন’ ক্ষমতা লাখো মুসলিম নাগরিককে গুরুতর ঝুঁকিতে ফেলছে। এ ক্ষমতার ফলে বহু মানুষের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হতে পারে। একটি নতুন প্রতিবেদনে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের দুই স্বনামধন্য মানবাধিকার ও নীতি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রানিমিড ট্রাস্ট এবং রিপ্রিভ গত বৃহস্পতিবার এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৯ মিলিয়ন (৯০ লাখ) মানুষ, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমতায় আইনগতভাবেই নাগরিকত্ব হারাতে পারেন।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে পারিবারিক বা বংশগত সম্পর্ক রয়েছে, এমন নাগরিকদের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলছে। একই সঙ্গে তা ঝুঁকিতে ফেলছে তাঁদের।

দুটি প্রতিষ্ঠানই সতর্ক করে বলেছে, বর্তমান ‘নাগরিকত্ব বাতিলের ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের উদাহরণ হিসেবে পরিচিত ‘উইন্ডরাশ কেলেঙ্কারি’র সঙ্গে তুলনা করা যায়।

দুটি প্রতিষ্ঠানই সতর্ক করে বলেছে, বর্তমান ‘নাগরিকত্ব বাতিলের ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমন ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী মুসলিম জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ এসব দেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

বর্তমান আইনে কোনো ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল করা যেতে পারে, যদি সরকার মনে করে যে তিনি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বসবাস না করে থাকলেও বা নিজেকে সে দেশের নাগরিক বলে মনে না করলেও এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমন ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী মুসলিম জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ এসব দেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

অধিকারকর্মীদের মতে, এর ফলে নাগরিকত্বের একটি বর্ণভিত্তিক স্তরবিন্যাস তৈরি হয়েছে। এতে মুসলিমদের যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার শর্তসাপেক্ষ হয়ে পড়ছে, যা শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

রিপ্রিভের মায়া ফোয়া মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘রাজনৈতিক সুবিধার জন্য আগের সরকার মানব পাচারের শিকার ব্রিটিশ নাগরিকদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিল। আর বর্তমান সরকার এ চরম ও গোপন ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে পারেন, তাঁদের জন্য এটি (এ চরম ও গোপন ক্ষমতা) বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়, বিশেষ করে যদি পুরোপুরি কর্তৃত্ববাদী কোনো সরকার সামনে ক্ষমতায় আসে।’
রানিমিড ট্রাস্টের পরিচালক শাবনা বেগমও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যথেচ্ছ কর্তৃত্ব ব্রিটেনের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে অসমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

রাজনৈতিক সুবিধার জন্য আগের সরকার মানব পাচারের শিকার ব্রিটিশ নাগরিকদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিল। আর বর্তমান সরকার এ চরম ও গোপন ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে।মায়া ফোয়া, ব্রিটিশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রিপ্রিভের কর্মকর্তা

শাবনা বেগম মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘উইন্ডরাশ কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী আইনগুলোর মতোই এখানে কার্যকর কোনো নজরদারি ব্যবস্থা নেই, যা এ ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার ঠেকাতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, নাগরিকত্ব কোনো সুযোগ নয়, এটি একটি অধিকার। অথচ একের পর এক সরকার নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দ্বিস্তরের নীতি চালু করছে। ফলে বিপজ্জনক একটি নজির তৈরি হচ্ছে, যেন কারও ‘ভালো’ বা ‘খারাপ’ আচরণের ওপর নির্ভর করেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে তাঁর পরিবার এ দেশে কত প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে, তা কোনো ব্যাপার নয়।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

আরও পড়ুন নাগরিকত্ব হারানো ৩ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি জিতলেন আপিলে ১৯ মার্চ ২০২১

অশ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই ঝুঁকিতে

রিপ্রিভ ও রানিমিড ট্রাস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, অশ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি মাত্র ২০ জনে ১ জন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রায় ৯ লাখ ৮৪ হাজার, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ৬ লাখ ৭৯ হাজার, বাংলাদেশিসহ ঝুঁকিতে থাকা ৩৩ লাখ এশীয় ব্রিটিশ সবচেয়ে বেশি সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রায় ৯ লাখ ৮৪ হাজার, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ৬ লাখ ৭৯ হাজার, বাংলাদেশিসহ ঝুঁকিতে থাকা ৩৩ লাখ এশীয় ব্রিটিশ সবচেয়ে বেশি সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন। তবে বাস্তবে যাঁদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই দক্ষিণ এশীয়, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বংশোদ্ভূত মুসলিম।

তবে বাস্তবে যাঁদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই দক্ষিণ এশীয়, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বংশোদ্ভূত মুসলিম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় অশ্বেতাঙ্গ মানুষ নাগরিকত্ব হারানোর ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আরও পড়ুনরাজনৈতিক আশ্রয়: নিজ দেশে ভ্রমণের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের আইন কী বলে০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হলো শামিমা বেগমের। যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া এই কিশোরীর নাগরিকত্ব বাতিল করা হয় এই দাবি করে যে তিনি নাকি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ সরকার সে দাবি অস্বীকার করেছে। শামিমা কিশোর বয়সে আইএসে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ছেড়েছিলেন। পরে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় যুক্তরাজ্য।

নাগরিকত্ব কোনো সুযোগ নয়, এটি একটি অধিকার। অথচ একের পর এক সরকার নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দ্বিস্তরের নীতি চালু করছে। ফলে বিপজ্জনক একটি নজির তৈরি হচ্ছে, যেন কারও ‘ভালো’ বা ‘খারাপ’ আচরণের ওপর নির্ভর করেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে তাঁর পরিবার এ দেশে কত প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে, তা কোনো ব্যাপার নয়।শাবনা বেগম, ব্রিটিশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘রানিমিড ট্রাস্ট’–এর পরিচালক

এদিকে এ প্রতিবেদন এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন কনজারভেটিভ ও রিফর্ম ইউকে দলের রাজনীতিকেরা আরও কঠোর ভাষায় কথা বলছেন। দুই দলই এমন পরিকল্পনার কথা বলছে, যাতে যুক্তরাজ্যে আইনিভাবে বসবাসকারী লাখো মানুষকে দেশ ছাড়া করা হতে পারে।

আরও পড়ুনশামিমার নাগরিকত্ব ও ব্রিটেনের ভূমিকা১৭ মে ২০১৯আরও পড়ুনব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমার আরেকটি চেষ্টা ব্যর্থ২৭ মার্চ ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ