রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক কারাগারে

বিআরডিবির হিসাবরক্ষক আনিছুর গ্রেপ্তার

তিনি বলেন, “অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—শ্রী হৃদয়, মাসুদ রানা, এম রহমান চৌধুরী, বুলু, নাসির, বেলাল, শামীম, সাইফুল, ফিরোজ ও ইমরান।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে কেউ নিয়মিত মামলার আসামি, আবার কেউ চুরি, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৪  

বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ নারীসহ ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় স্থানীয় এলাকাবাসী আহত পুলিশ সদস্য জনী (৩৫)কে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।  বর্তমানে সে বন্দর থানার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩০) একই এলাকার মৃত মনির হোসেনের মেয়ে ও রবিউল ইসলামের স্ত্রী লেডি সন্ত্রাসী মুন্নি আক্তার (২৭) সোনাকান্দা বেপারীপাড়া এলাকার নুরুল আমিন মিয়ার মেয়ে  ফারজানা আক্তার (২৫) ও একই এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে ও সোহেল মিয়ার স্ত্রী সুমা (২২)।

এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি উপ-পরিদর্শক সৈয়দ জাকির হোসেন  বাদী হয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারকৃত ৪ হামলাকারিসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও  আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার (১৬ অক্টোবর)  রাত ১০টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

থানার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  রোববার রাতে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় মাদক উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা কালে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরাসহ অজ্ঞাত নামা মাদক কারবারিরা পুলিশের উপর লক্ষ করে অতর্কিত হামলা চালায়।  ওই সময় হামলাকারিরা পুলিশ সদস্য জনীক বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।  তারা দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।

এর ধারাবাহিকতা গত ১৫ অক্টোবর   রাত ৮টায় বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে শওকত  মিয়া কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বন্দর থানাধীন দড়ি সোনাকান্দা বেপারীপাড়া সাকিনস্থ ধৃত লেডী সন্ত্রাসী  মুন্নী বেগমের মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র বিবাদী মুন্নীসহ অন্যান্য বিবাদীগন পথ গতিরোধ
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শওকতের নিকট  ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

আমি বিবাদীদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিবাদীগন আমাকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ