নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় গতকাল সোমবার রাতেই তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে এক মাদক ব্যবসায়ী ও তাঁর লোকজন।

নিহত মাসুদ শেখ (৪৬) কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের শুক্তগ্রামের সবোর শেখের ছেলে।

মাসুদের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে শুক্তগ্রামের দত্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোড় থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে মাসুদকে একই এলাকার মান্দার খাঁর বাড়ির সামনে এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ী ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে মাসুদ মারা যান।

নিহত মাসুদের ছোট ভাই ওমর সানী শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকায় একজন মাদক ব্যবসায়ী আছে। আমার ভাই ওরে বলছিল, “তুই ছেলেপেলে নষ্ট করে ফেলতিছিস, অবৈধ কাজ করিছিস, তোরে কিন্তু পুলিশ দিয়ে ধরায় দিবানি।” এই রাগ থেকে গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে একা পেয়ে আমার ভাইকে দলবল নিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা তাঁদের নামে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

মাসুদের মৃত্যুর পর কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল শোকবার্তা দিয়েছে। বার্তায় তারা উল্লেখ করেছে, মাসুদ দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। আততায়ীদের হাতে তিনি নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। তাঁরা এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে সুরুজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বন্দর মদনপুর একতা সমবায় সুপার মার্কেট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ ২০০০ ইং হইতে অদ্যাবধি পর্যন্ত মার্কেট পরিচালনার অব্যবস্থা নিয়ে সুরুজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ব্যবসায়ীরা।

‎এছাড়াও বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া হিরণের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে সুরুজ বাহিনী হয়রানির অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

‎মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে মদনপুর একতা সুপার মার্কেটের ২৭ বৎসরের অবৈধ সভাপতি, হত্যা মামলার আসামী, ওসমান পরিবারের এমপি সেলিম ওসমানের আশির্বাদপুষ্ট অগ্রণী ব্যাংক ঋণ খেলাপী, দুই ডজন মামলার আসামী, ভূমি দস্যু ও মার্কেটের ২৪টি দোকান ভাড়া জোড় পূর্বক আদায় করা ক্যাডার সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী হীরা লাল ।

‎দোকান মালিকদের অভিযোগ, একতা সমবায় সুপার মার্কেট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৭ সনে। পরবর্তীতে ১৬/১১/২০০০ ইং সনে রেজিস্ট্রেশন হয় যাহার রেজিঃ নং ৩৩৬। মার্কেট সদস্য সংখ্যা ১০১ জনে মিলে ১১৪ শতাংশ জমি কিনে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করে মার্কেট প্রতিষ্ঠিত করেন।

শুরু হইতে সভাপতি ছিলেন সুরুজ মিয়া। কিছু দিন যাওয়ার পর সে তাহার স্বৈরাচারী মনোভাবে মার্কেট পরিচালনা করিতে থাকাবস্থায় কোন সদস্যকে গুরুত্ব না দিয়ে একাধারে ২০২৪ইং পর্যন্ত সভাপতির চেয়ার দখল করে আছেন।

ইতিমধ্যে সুরুজ যখন দেখে সে আর সভাপতি থাকতে পারবেনা এবং  জেলা সমবায় অফিসার তাকে অবৈধ ঘোষণা করিলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে সুরুজ মিয়া মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং ৭৯০৫/২২ দায়ের করে।

পরবর্তীতে ১৮/২/২০২৪ ইং উক্ত রীট খারিজ হইলে এর পূর্বেই ১৯/১/২৪ ইং সুরুজ মিয়া বিনা নির্বাচনে বেআইনীভাবে তার ছেলে নাসির উদ্দিন হিরাকে সভাপতি বানাইয়া তাহার কু-কর্ম বহাল রাখে।

গত ২৫ অক্টোবর সুরুজ মিয়ার অনুগত দোসরা প্রতিবাদী বিএনপি নেতা হিরন মিয়াকে জড়াইয়া একটি ভূয়া সংবাদ সম্মেলন করে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়াছে তাহার সুরুজ মিয়ার নির্দেশে করা মামলার আসামী।

তাহারা সুরুজ মিয়ার কথা মত তাহার ভয়ে মার্কেটের নিজ দোকানের ভাড়া না পাওয়া সত্ত্বেও ভাড়া পায় বলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয় যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা বর্তমানের মাসের ভাড়া পায় কিন্তু পূর্বের কয়েক বছরের ভাড়া পায় নাই। অদ্য ২৮/১০/২৫ ইং তারিখ সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় সংবাদ সম্মেেেলন দেওয়া বক্তব্য প্রকৃত সত্য বক্তব্য দেওয়া হয়।

‎ইতিমধ্যে সুরুজ মিয়া তাহার অনুগত লোকদের দিয়ে নিরীহ দোকান মালিকদের নামে মামলা দিয়াছে। মামলা নং (১) ঈজ ৫৬৬/২৩ বাদী কাবিল আসামী হিরা লাল (২) ঈজ ৪৮৯/২৩ বাদী বাবুল শেখ আসামী আরিফ সরকার (৩) ঈজ ২১৮/২৩ বাদী নজরুল ইসলাম আসামী হাপেজ মোঃ ইছহাক কবির গং (৪) ঈজ ৫০৭/২৩ বাদী সুজন মিয়া আসামী আলাউদ্দিন (৫) ৫/২৫ বাদী হারুন আসামী রফিকুল ইসলাম ভূইয়া গং (৬) বন্দর থানার মামলা নং ১১ (৮)২৫ বাদী কাবিল আসামী আমিনুল হক গং (৭) দেঃ নং ১২৭/২৩ বাদী সুরুজ মিয়া আসামী রফিকুল ইসলাম ভূইয়া গং (৮) ঈজ ৫৬৬/২৩ বাদী বাবুল আসামী আমিনুল হক গং ‎(৯) পি ৫৫/২৪  বাদী বাবুল শেখ আসামী সহিদুল গং (১০) পি ২৫২/২৩ বাদী নাজমুল হাসান আসামী রফিকুল ইসলাম ভূইয়া গং ১৩ জন, (১১)১১/৪/২৫ বাদী সবুজ মিয়া আসামী আমিনুল হক গং, (১২) ঈজ ১৩/৯/২২ বাদী সবুজ মিয়া আসামী আমিনুল হক গং।

নিম্নে সুরুজ মিয়া ও তাহার বাহিনীর অপকর্মের বিভিন্ন অপরাধের ফিরিস্তি দেওয়া হইল:অবৈধ ভাবে তার ছেলেকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা। অবৈধ ভাবে বিনা নির্বাচনে তার ছেলেকে সভাপতি বানানো। গোপনে লিজের রেলওয়ের জায়গা ৪০ শতাংশ মার্কেটের ১১ জনের পরিবর্তে নিজের নামে লীজ নেওয়া।

‎মার্কেটের নিজস্ব ৩২ শতাংশ কাঁচা বাজারের ভাড়া টাকা আত্মসাত করা। মার্কেটের সামনে মার্কেটের জায়গায় চার তলা ভবনের রুম গুলোর ভাড়া সে ও তার দোসরাসহ ভাগ করে নেওয়া। মার্কেটের অনেক সদস্যের নিজস্ব দোকানের ভাড়াগুলো নিয়ে যাওয়া। মার্কেটের কিছু সদস্যের নামে তার বাহিনী দ্বারা চাঁদাবাজিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা।

‎মার্কেটের সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে মার্কেট একাউন্ট থেকে ১,১৯,০০,০০০/- টাকা নিজের একাউন্টে নিয়ে আত্মসাৎ করা যাহার চেক নং ৬১৩৬০২৭ থেকে তার নিজের ঋণ একাউন্টন ১১১.০০০.৪৭৭৭৭ তারিখ ০৯/০২/২০১৭ ইং।

‎২০২২ সালে মাননীয় হাই কোর্ট থেকে অবৈধ রীট ১৮/০২/২০২৪ ইং তারিখে হাই কোর্টে খারিজ করার পূর্বেই মামলা থাকাবস্থায় ১৯/০১/২০২৪ ইং তারিখে তার ছেলে নাসির উদ্দিন হিরাকে অবৈধ ভাবে সভাপতি নিয়োগ করা।

সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের গন শুনানীতে দরখাস্ত করলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের তদন্তে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমানিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারী হওয়ায় গত ২৫/১০/২০২৫ ইং তারিখে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।

গত ২৫/১০/২৫ ইং তারিখে মার্কেটের ৩য় তলার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অমূলক হয়। আমরা মার্কেটের বঞ্চিত ৮ জন মালিকগণ উক্ত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ