ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিভৃত গ্রামে আলোঝলমলে সন্ধ্যা, প্রদর্শিত হলো মঞ্চনাটক ‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’

মৌলভীবাজারের ঘোড়ামারায় বিকেল পেরিয়ে তখন সন্ধ্যা নামছে। নিভৃত গ্রামটিতে এই হেমন্তে হয়তো ও রকমই শান্ত, ধীর সন্ধ্যা নামে। জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙ্‌ক্তির মতো ‘সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন/ সন্ধ্যা আসে;...পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন/ তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;...।’ অন্যদিন গ্রামটি অতটা রঙে ঝিলমিল হয় কি না, জানা নেই। তবে গতকাল শনিবারের বিকেল ও সন্ধ্যাটা ‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’ মঞ্চনাটককে ঘিরে ঝিলমিল করে উঠেছিল গ্রামটি।

ঘোড়ামারা কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম। গতকাল মণিপুরি থিয়েটারের নটমণ্ডপে ছিল ‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’ নাটকের শেষ প্রদর্শনী। গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রথম প্রদর্শনী দিয়ে শুরু হয়। গতকাল সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে শীতকালীন প্রদর্শনীটি। তিন দিনে পাঁচটি প্রদর্শনীর প্রতিটিই গ্রামের মানুষ টিকিট কেটে দেখেছেন, এসেছেন দূরদূরান্তের দর্শকেরাও।

গতকাল বিকেলে গ্রামটিতে গিয়ে দেখা গেছে, নটমণ্ডপের কাছে অনেক দর্শক এসে জড়ো হয়েছেন। বেলা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের নারী-পুরুষ-শিশুরা দল বেঁধে, কেউ সপরিবার, কেউ একা নটমণ্ডপে এসে ভিড় করেন। অনেকে এসেছেন অন্য কোনো শহর থেকে, অন্য কোনো গ্রাম থেকে। কেউ খড়ের ছাউনি দেওয়া অস্থায়ী কাউন্টার থেকে প্রদর্শনীর আগে টিকিট কেটে নিচ্ছেন। কেউ নটমণ্ডপের সামনে, কেউ এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করছেন। কেউ গ্রামীণ পথের ধারে বেঞ্চে বসে নাটক শুরুর অপেক্ষা করছেন। মঞ্চনাটক প্রদর্শনী উপলক্ষে অস্থায়ী চা, পেঁয়াজু, ফুলকপি ও আলুভাজার দোকান বসেছে। লোকে লাইন ধরে এসব কিনছেন, খাচ্ছেন।

হঠাৎ দেখা হয় লোকগবেষক আহমদ সিরাজের সঙ্গে। লেখালেখির মানুষ, নাটক দেখতে এসেছেন। নাটক দেখতে এসেছেন মৌলভীবাজারের রেডিও পল্লীকণ্ঠের স্টেশন ম্যানেজার মেহেদি হাসান ও একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা হাসান তারেক। তাঁরা দুজনই নাটকের মানুষ, নাটকের খোঁজে ঘুরে বেড়ান। ব্যস্ততার মধ্যে দৌড়ঝাঁপ করছেন শুভাশিস সিনহা—কবি ও নাট্যকার। স্মৃতিকুমার সিংহের ‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’ গল্পটির নাট্যরূপ ও নির্দেশনা তাঁরই।

নটমণ্ডপের সামনে দর্শকেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিভৃত গ্রামে আলোঝলমলে সন্ধ্যা, প্রদর্শিত হলো মঞ্চনাটক ‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’