মহাশূন্যে বিড়ালের ১৩ মিনিটের ঐতিহাসিক ফ্লাইট
Published: 14th, December 2025 GMT
মহাশূন্যের প্রথম প্রাণী হিসেবে সোভিয়েত কুকুর লাইকার নাম অনেকেরই মনে আছে। তবে ১৯৬৩ সালে ফ্রান্সও মহাকাশ অনুসন্ধানে নিজস্ব এক ঐতিহাসিক অভিযান শুরু করেছিল। ফ্রান্সের সেই অভিযানে মহাকাশে গিয়েছিল একটি বিড়াল। তার নাম ফেলিসেট।
১৯৬১ সালে ফ্রান্স তার জাতীয় মহাকাশ কার্যক্রম শুরু করার পর তৃতীয় দেশ হিসেবে মহাকাশে প্রাণী পাঠানোয় সাফল্য লাভ করে। ১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর ফরাসি বিজ্ঞানীরা ভেরোনিক সাউন্ডিং রকেটে করে প্রথম বিড়াল ফেলিসেটকে মহাকাশে পাঠানো হয়। ফেলিসেটই প্রথম বিড়াল, যে ভারহীনতার অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল।
১৯৬৩ সালে সেন্টার ডি’এনসেইনম্যান্ট অ্যাট ডি রিসার্চেস ডি মেডিসিন অ্যারোনটিক পরীক্ষার জন্য ১৪টি স্ত্রী বিড়াল সংগ্রহ করে। স্ত্রী বিড়ালদের শান্ত স্বভাবের কারণে নির্বাচন করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মানসিক সংযুক্তি রোধ করার জন্য তাদের কোনো নাম দেওয়া হয়নি। সব বিড়ালের মস্তিষ্কে স্থায়ী ইলেক্ট্রোড স্থাপন করা হয়েছিল, যেন অভিযানের সময় নিউরোলজিক্যাল সংকেত পর্যবেক্ষণ করা যায়। মহাকাশ উৎক্ষেপণের পরিস্থিতি অনুকরণ করার জন্য বিড়ালগুলোকে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ক্যাপসুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, সিমুলেটেড রকেটের শব্দের সঙ্গে তাদের পরিচিত করানো ও উচ্চ জি সেন্ট্রিফিউজ সেশন করানো।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ছয়টি বিড়ালকে ফ্লাইটের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়। একটি শান্ত টাক্সেডো বিড়ালের প্রথমে নাম দেওয়া হয় সি৩৪১। আদর্শ ওজন ও স্বভাবের জন্য নির্বাচন করা হয়। উড্ডয়নের সময় কার্ডিয়াক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য তার পায়ে ইলেক্ট্রোড সংযুক্ত করা হয়েছিল।
১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর সি৩৪১ বিড়ালকে ভার্নন, হউট-নরম্যান্ডি থেকে রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয়। কক্ষপথের ফ্লাইটটি ১৫২ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। প্রায় ১৩ মিনিটের এই মিশনে বিড়ালটি পাঁচ মিনিট ভারহীনতার অভিজ্ঞতা লাভ করে। সফল অবতরণের পর সি৩৪১ বিড়ালকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। পরে বিড়ালের নাম করা হয় ফেলিসেট।
ফেলিসেটের ভ্রমণ লাইকার মতো ততটা মনোযোগ পায়নি। ফেলিসেটের সফল অভিযানের পর ১৯৬৩ সালের ২৪ অক্টোবর উৎক্ষেপণ করা অন্য একটি বিড়াল রকেটের ত্রুটির কারণে মারা যায়।
সূত্র: স্কাই নাইট ম্যাগাজিন
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মহাশূন্যে বিড়ালের ১৩ মিনিটের ঐতিহাসিক ফ্লাইট
মহাশূন্যের প্রথম প্রাণী হিসেবে সোভিয়েত কুকুর লাইকার নাম অনেকেরই মনে আছে। তবে ১৯৬৩ সালে ফ্রান্সও মহাকাশ অনুসন্ধানে নিজস্ব এক ঐতিহাসিক অভিযান শুরু করেছিল। ফ্রান্সের সেই অভিযানে মহাকাশে গিয়েছিল একটি বিড়াল। তার নাম ফেলিসেট।
১৯৬১ সালে ফ্রান্স তার জাতীয় মহাকাশ কার্যক্রম শুরু করার পর তৃতীয় দেশ হিসেবে মহাকাশে প্রাণী পাঠানোয় সাফল্য লাভ করে। ১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর ফরাসি বিজ্ঞানীরা ভেরোনিক সাউন্ডিং রকেটে করে প্রথম বিড়াল ফেলিসেটকে মহাকাশে পাঠানো হয়। ফেলিসেটই প্রথম বিড়াল, যে ভারহীনতার অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল।
১৯৬৩ সালে সেন্টার ডি’এনসেইনম্যান্ট অ্যাট ডি রিসার্চেস ডি মেডিসিন অ্যারোনটিক পরীক্ষার জন্য ১৪টি স্ত্রী বিড়াল সংগ্রহ করে। স্ত্রী বিড়ালদের শান্ত স্বভাবের কারণে নির্বাচন করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মানসিক সংযুক্তি রোধ করার জন্য তাদের কোনো নাম দেওয়া হয়নি। সব বিড়ালের মস্তিষ্কে স্থায়ী ইলেক্ট্রোড স্থাপন করা হয়েছিল, যেন অভিযানের সময় নিউরোলজিক্যাল সংকেত পর্যবেক্ষণ করা যায়। মহাকাশ উৎক্ষেপণের পরিস্থিতি অনুকরণ করার জন্য বিড়ালগুলোকে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ক্যাপসুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, সিমুলেটেড রকেটের শব্দের সঙ্গে তাদের পরিচিত করানো ও উচ্চ জি সেন্ট্রিফিউজ সেশন করানো।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ছয়টি বিড়ালকে ফ্লাইটের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়। একটি শান্ত টাক্সেডো বিড়ালের প্রথমে নাম দেওয়া হয় সি৩৪১। আদর্শ ওজন ও স্বভাবের জন্য নির্বাচন করা হয়। উড্ডয়নের সময় কার্ডিয়াক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য তার পায়ে ইলেক্ট্রোড সংযুক্ত করা হয়েছিল।
১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর সি৩৪১ বিড়ালকে ভার্নন, হউট-নরম্যান্ডি থেকে রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয়। কক্ষপথের ফ্লাইটটি ১৫২ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। প্রায় ১৩ মিনিটের এই মিশনে বিড়ালটি পাঁচ মিনিট ভারহীনতার অভিজ্ঞতা লাভ করে। সফল অবতরণের পর সি৩৪১ বিড়ালকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। পরে বিড়ালের নাম করা হয় ফেলিসেট।
ফেলিসেটের ভ্রমণ লাইকার মতো ততটা মনোযোগ পায়নি। ফেলিসেটের সফল অভিযানের পর ১৯৬৩ সালের ২৪ অক্টোবর উৎক্ষেপণ করা অন্য একটি বিড়াল রকেটের ত্রুটির কারণে মারা যায়।
সূত্র: স্কাই নাইট ম্যাগাজিন