নাটোরে নিখোঁজ তরুণের পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর বন্ধুসহ পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মামা বাদী হয়ে আজ রোববার সকালে বড়াইগ্রাম থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় বড়াইগ্রামের আগ্রাণ এলাকার একটি গাছের শিকড়ের ভেতর থেকে সোহাগ হোসেন (২৫) নামের এক তরুণের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি থানা মোড় এলাকার নাজমুল ইসলামের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবর রাত থেকে সোহাগকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ঘটনায় তাঁর মামা আবু হানিফ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, আবু হানিফ মামলায় নিহতের বন্ধু ও প্রতিবেশী আকাশ হোসেন (২৭) তাঁর মা কহিনুর বেগম (৬২) ভাই ডাবলু (৪৫) লাভলু (৩৮) ও বোন নিপা খাতুনকে (৩৫) আসামি করেছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪–৫ জন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১২টার দিকে আকাশ হোসেন ট্রাকের বালু নামানোর কথা বলে সোহাগ হোসেনকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর আর তিনি ফিরে আসেননি। পরের দিন নিহত সোহাগের মা পারভিন বেগম আসামিদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছেলের সন্ধান চাইলে তাঁরা খারাপ আচরণ করেন। পরে শুক্রবার আবু হানিফ এ ব্যাপারে থানায় জিডি করেন। গতকাল সকালে আগ্রাণ এলাকার একটি গাছের নিচ থেকে পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো অবস্থায় সোহাগের লাশ উদ্ধার করা হয়। বাদীর ধারণা, আসামিরা তাঁর ভাগনেকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছেন।

আরও পড়ুননিখোঁজ যুবকের পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার২০ ঘণ্টা আগে

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, মামলা হওয়ার আগে থেকেই পুলিশ সন্দেহভাজন আসামিদের ধরতে মাঠে নেমেছে। আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই আসামিরা ধরা পড়বে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার উদ্দেশ্য জানা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প য় র রগ ক ট ও চ খ উপড় ন ল শ উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপত্তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত থাকবে

নিরাপত্তার কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষ) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী কিংবা অপ্রত্যাশিত যেকোনো ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত/নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো সমাবেশ, মিছিল, বৈধ ও অবৈধ যেকোনো ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ আদেশ ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে কার্যকর হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের আদেশ অনুসারে এ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির শেষাংশে বলা হয়, ওই নির্দেশ লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থীদের এ বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে যে এই আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং অপ্রত্যাশিত ব্যক্তিরা সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে প্রবেশ করছেন; যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিচারকাজ পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ