মানিকগঞ্জে ৫২৭ বস্তা সারবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে
Published: 14th, December 2025 GMT
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ৫২৭ বস্তা সারবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার সকালে উপজেলা সদরের ঘিওর বাজারসংলগ্ন কুস্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়, উপজেলা প্রশাসন ও ঘিওর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ৪২৮ বস্তা ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও ৯৯ বস্তা ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার নিয়ে একটি ট্রাক ঘিওর বাজারে যাচ্ছিল। তবে চালক প্রধান সড়ক ব্যবহার না করে ঝুঁকিপূর্ণ একটি রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশ করলে ট্রাকটি উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলা সদরের কুস্তা এলাকায় গরুর হাটসংলগ্ন রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ। নদীভাঙনে সড়কের কিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এ রাস্তায় সাধারণত বড় গাড়ি চলাচল করে না। সকালে হঠাৎ সারবাহী ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতে গিয়ে উল্টে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, আমদানি করা ৪২৮ বস্তা ডিএপি সার উপজেলার বরটিয়া ইউনিয়নের পরিবেশকদের কাছে নেওয়া হচ্ছিল। এ ছাড়া পাশের শিবালয় উপজেলার পরিবেশকদের জন্য আরও বেশ কিছু সার নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথে ট্রাকটি উল্টে নদীর তীরে পড়ে যায়। ইতিমধ্যে ২০০ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু বস্তা সার নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সারের পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাশিতা-তুল ইসলাম বলেন, পাঁচ শতাধিক বস্তা সার ছিল। ঘিওর উপজেলা ছাড়াও পাশের আরেকটি উপজেলার পরিবেশকদের কাছে এসব সার সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু সারসহ ট্রাক নদী উল্টে গিয়ে অনেক সার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মাহাবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশরাই ক্রিকেট খেলেন পুলিশ ক্লাবে
একসময় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে খেলা ওল্ড ডিওএইচএসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাব। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন। চমকপ্রদ তথ্যটা তখনই দিলেন তিনি।
পুলিশ ক্লাব মানেই তাদের হয়ে খেলা সবাইকে পুলিশ হতে হবে, বিষয়টা তেমন নয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের ব্যস্ততায় খেলারই–বা সময় কই পুলিশদের! কিন্তু শাহাদাতের কাছ থেকে জানা গেল উল্টো তথ্য। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের দল বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের স্কোয়াডে থাকা ১৮ জনের ১০ জনই পুলিশে চাকরি করেন। এক প্রশ্নে ‘আমরা পুলিশে চাকরি করি, আমি একজন পুলিশ সদস্য’ জানিয়ে ৩ ওভারে ১২ রানে ১ উইকেট পাওয়া এই বোলিং অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমাদের আটজন খেলোয়াড় সিভিল, বাকি আমরা ১০ জনই পুলিশ।’
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে নায়েক পদে কর্মরত শাহাদাত জানালেন, চাকরি ও খেলা—দুটি একসঙ্গেই চালান তাঁরা। ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট খেলা শাহাদাত খেলেছেন চট্টগ্রাম লিগেও। পুলিশে খেলোয়াড় কোটা বলে কিছু নেই, খেলার জন্য আলাদা কোনো ভাতাও নেই। নিজেদের আগ্রহ আর সামর্থ্য দিয়েই পুলিশ হয়েও খেলোয়াড় তাঁরা। শাহাদাত বলেছেন, ‘আমি ডিউটিও করি, পাশাপাশি খেলাধুলাও করি। আমাদের যখন ক্যাম্প শুরু হয়, তখন আমাদের স্যাররা আমাদের খেলার জন্য রিলিজ করেন।’ অবশ্য ক্রিকেট খেললেও তাঁদের কাছে পেশাগত দায়িত্বটাই আগে, ‘প্রথম হচ্ছে আমাদের ডিউটি। দেশ রক্ষায়, দেশের সাধারণ জনগণের জন্য আমরা নিবেদিতপ্রাণ। এরপর হচ্ছে আমাদের খেলা।’
বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন