ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান এ আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আবদুল হান্নানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের চারটি কারণে দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা অজ্ঞাতনামা দুজন সন্ত্রাসী ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। গুলিতে ওসমান হাদি গুরুতর জখম হন। র‍্যাব-২ ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে মোটরসাইকেলের মালিক মো.

আবদুল হান্নানের বিষয়ে জানতে পারে। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেলের বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি আসামি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসামিকে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার, জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম–ঠিকানা সংগ্রহসহ অবস্থান জানা, মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন ও তথ্য-অর্থের সম্পর্ক সংগ্রহ এবং কোন স্থান থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, তার উৎস জানার জন্য পুলিশের নিজ হেফাজতে রেখে আবদুল হান্নানকে সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেটের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর) সূত্র ধরে গতকাল শনিবার আবদুল হান্নানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে র‍্যাব-২। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মোটরসাইকেলটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন। পরে তাঁকে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করেন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুনওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর ধরে মালিককে আটক৫ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল হ ন ন ন ওসম ন হ দ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি

ফতুল্লার লঞ্চঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বালুবোঝাই বাল্কহেডটিতে ৫ জন লোক ছিলো, প্রত্যেকেই সাঁতরে নদীর পাড়ে ওঠে আসেন।

তবে এ সময় লঞ্চের দায়িত্বে থাকা লোকজন সাঁতরে পালিয়ে যান। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ফতুল্লা লঞ্চঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান নৌ পুলিশের পাগলা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা ভোলাগামী ‘বোগদাদিয়া-১৩’ লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সদরঘাটমুখী একটি বালুবাহী বাল্কহেডকে ধাক্কা হয়। এতে বাল্কহেডটি দ্রুত নদীতে ডুবে যায়।

দুর্ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, লঞ্চটির সামনের অংশ বালুবাহী বাল্কহেডটির ওপর উঠে যায়। বাল্কহেডটি ডুবে যেতে দেখে শ্রমিকরা প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ধারণকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আমি তখন নদী পার হচ্ছিলাম। যে লাইনে দুইটি নৌযান চলছিল, দূর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে সংঘর্ষ হতে পারে। তাই সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও ধারণ শুরু করি।”

পাগলা নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা লঞ্চটিকে আটক করেছি। বাল্কহেডটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় এটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি