শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা
Published: 14th, December 2025 GMT
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শহীদদের স্মরণে কোরআন তেলওয়াত ও এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক রায়হান কবীর বলেন, আমরা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। এখনো এই দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।
এই ষড়যন্ত্র সকলে মিলে রুখে দাড়াতে হবে। আর রুখে দাড়াতে ব্যর্থ হলে যেকোন ভাবে ফ্যাসিষ্টরা আবার থাবা মারতে পারে। তাই সজাগ দৃষ্টি রাখার আহব্বান জানান জেলা প্রশাসক।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ১৪ই ডিসেম্বর জাতিকে মেধা শূন্য করার জন্য নির্বিচারে শিক্ষক,কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ মেধাবীদের হত্যা করা হয়েছিল। এই শূন্যতা পূরণ করার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
তাদের তৎপরতা এখনো চলছে। তাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এসময় বক্তারা বুদ্ধিজীবি হত্যার সঠিক ইতিহাস তোলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক রায়হান কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, মশিউর রহমান সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আলমগীর হুসাইন সার্বিক, জনাব তারেক আল মেহেদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড: সাখাওয়াত হোসেন এড : আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মাওলানা মঈন উদ্দিন, মাওলানা আঃ জব্বার, ইসলামি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, ইলিয়াস আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর আলম, নিরব রায়হান আহ্বায়ক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এছাড়াও সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বেলা দেড়টার পর কর্মসূচি ঘোষণা করল রাকসু
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির বরেণ্য সন্তানদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। দিনটিকে স্মরণ করতে আনুষ্ঠানিক কোনো পরিকল্পনাও ছিল না। আজ রোববার সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বেলা দেড়টার পর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বাদ আসর একটি দোয়া মাহফিল ও সন্ধ্যায় আলোচনা সভা আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাকসুর পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতা না থাকার বিষয়টি গভীর উদ্বেগের। এমন কর্মকাণ্ড তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়ার কথাও বলেছেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) ও শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিবসটিকে ঘিরে গতকাল শনিবার থেকে আমাদের আলোচনা চলছিল। আমরা একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করার কথা আলোচনা করছিলাম। কিন্তু স্থান, সময় ও ব্যানার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়ে গেছে।’ আলোচনা সভায় অতিথি কে কে থাকবেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাকুর রহমান সুনির্দিষ্টভাবে কারও নাম বলতে পারেননি। তিনি রাকসুর বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে বলেছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি না ঘোষণার বিষয়টিকে ইতিহাস বিকৃতির অংশ হিসেবে দেখছেন রাবি শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি ও রাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলে ভিপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা শেখ নূর উদ্দিন (আবীর)। তিনি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাকসুর কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন নেই, এটি শুনে আমি অত্যন্ত ব্যথিত। আমরা দেখেছি, ২৪–পরবর্তী বাংলাদেশে একটি গোষ্ঠী ’৭১–কে মুছে ফেলার হেয় পরিকল্পনা করেছে। তারা একটি দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ইতিহাস বিকৃত করছে। রাকসু যদি ইতিহাস বিকৃতির এই পথে যায়, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল প্রথম আলোকে বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাকসুর নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাননি। ফেসবুকে সমালোচনার পর তাঁরা দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। রাকসু একটি নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। পাকিস্তানপন্থী বিভিন্ন দিক তারা ঘটা করে পালন করছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ড ’৭১–কে মুছে ফেলার প্রচেষ্টার নামান্তর।
এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে রাতের প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস)। পরে ভোর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সম্মাননা স্মারক, আলোচনা সভা, নাটক, বিশেষ প্রার্থনাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।