Prothomalo:
2025-11-17@12:39:47 GMT

কমলা হ্যারিসের সামনে এখন কী

Published: 10th, January 2025 GMT

ঠিক দুই মাস আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নির্বাচনে হারের পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) আদতে নিজের পরাজয়ের প্রত্যয়ন বা সার্টিফিকেশনের সভাপতিত্ব করলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি সোমবার হাউস স্পিকারের বেদিতে দাঁড়িয়ে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনায় নেতৃত্ব দিলেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের বিজয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হলো। এই ভোট গণনার দুই সপ্তাহ পর হোয়াইট হাউসে ফিরবেন ট্রাম্প।

পুরো ব্যাপারটাই কমলার জন্য বেদনাদায়ক ও বিব্রতকর। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য বড়সড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিলেন।

অবশ্য এমনটা নয় যে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কোনো পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনকারীদের সংখ্যা গুনতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নেতৃত্ব দিলেন। ২০০১ সালে এই অমর্যাদা হজম করেছেন আল গোর। তারও আগে করেছেন রিচার্ড নিক্সন, ১৯৬১ সালে।

তবে এবারের ঘটনাটিকে দোলাচলের এক নির্বাচনের উপযুক্ত সমাপন হিসেবে দেখা যায়। কমলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণতম প্রেসিডেন্টের সহচর থেকে হঠাৎ ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী পতাকা হাতে সামনে চলে এসেছিলেন। পরাজয়ের ধসে ভিতের গভীর দুর্বলতাগুলো ফুটে ওঠার আগ পর্যন্ত তাঁর অল্প দিনের প্রচারণা দলটিকে একঝলক আশা দেখিয়েছিল।

নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতা রাখছেন কমলা হ্যারিস। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট অ্যালিস শহরে, ২৩ জুলাই ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ ঘণ্টা পরও খোলা হয়নি শাহ আমানত হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষের তালা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আবাসিক শিক্ষার্থীরা তালা দেওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর আজ সোমবার দুপুরেও তা খোলা হয়নি। উল্টো আজ শিক্ষার্থীরা প্রধ্যক্ষের কক্ষের নামফলকও সরিয়ে ফেলেন। গতকাল রোববার সকালে আর্থিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান আলোচনার প্রস্তাবও দিলেও শিক্ষার্থীরা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ ও অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া আলোচনায় বসবেন না বলে হল সংসদের নেতারা জানিয়েছেন।

আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক চৌ ধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান হলের গৃহশিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে হলে যান। তিনি হল সংসদের প্রাকর্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে আবাসিক শিক্ষার্থী ও হল সংসদের নেতারা সেখানে উপস্থিত হননি।

প্রাধ্যক্ষ দেখা করতে চাইলেও হল সংসদের সদস্যরা তাতে রাজি হননি বলে জানান শাহ আমানত হল সংসদের ভিপি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আগের মতো সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, দাপ্তরিক কাজ যাতে ব্যাহত না হয়—এ জন্য হলের আরেকটি অফিস কক্ষ খোলা রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমি গৃহশিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে হলে গিয়েছিলাম আলোচনায় বসতে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আসেননি। পরে সহউপাচার্যের (একাডেমিক) সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি আমাকে দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং উপাচার্য চীন সফর শেষে দেশে ফিরলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, গতকাল হল সংসদের প্রতিনিধিরা তাঁর কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। তিনি সময় চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ প্রাধ্যক্ষ এসে জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করতে চান। কিন্তু উপাচার্য ও সহউপাচার্য (প্রশাসনিক) অনুপস্থিত থাকায় আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। উপাচার্য দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

গতকাল আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্মতিতে হল সংসদের প্রতিনিধিরা প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দায়িত্বে অবহেলা, অসৌজন্যমূলক আচরণ, অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর কক্ষে তালা দেন। অভিযোগে বলা হয়—হল স্টোরের মালামাল নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়েছে, দরজা-জানালার মেরামত হয়নি, দ্বিতীয় ডাইনিং চালু হয়নি এবং সাইকেল স্ট্যান্ডসহ মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। এসব অভিযোগ তাঁরা সহ–উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন। তবে প্রাধ্যক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনেক কাজই বাজেট ও প্রশাসনিক অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল এবং তিনি নিয়মিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ