ঠিক দুই মাস আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নির্বাচনে হারের পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) আদতে নিজের পরাজয়ের প্রত্যয়ন বা সার্টিফিকেশনের সভাপতিত্ব করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি সোমবার হাউস স্পিকারের বেদিতে দাঁড়িয়ে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনায় নেতৃত্ব দিলেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের বিজয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হলো। এই ভোট গণনার দুই সপ্তাহ পর হোয়াইট হাউসে ফিরবেন ট্রাম্প।
পুরো ব্যাপারটাই কমলার জন্য বেদনাদায়ক ও বিব্রতকর। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য বড়সড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিলেন।
অবশ্য এমনটা নয় যে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কোনো পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনকারীদের সংখ্যা গুনতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নেতৃত্ব দিলেন। ২০০১ সালে এই অমর্যাদা হজম করেছেন আল গোর। তারও আগে করেছেন রিচার্ড নিক্সন, ১৯৬১ সালে।
তবে এবারের ঘটনাটিকে দোলাচলের এক নির্বাচনের উপযুক্ত সমাপন হিসেবে দেখা যায়। কমলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণতম প্রেসিডেন্টের সহচর থেকে হঠাৎ ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী পতাকা হাতে সামনে চলে এসেছিলেন। পরাজয়ের ধসে ভিতের গভীর দুর্বলতাগুলো ফুটে ওঠার আগ পর্যন্ত তাঁর অল্প দিনের প্রচারণা দলটিকে একঝলক আশা দেখিয়েছিল।
নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতা রাখছেন কমলা হ্যারিস। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট অ্যালিস শহরে, ২৩ জুলাই ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//