ফেনীতে যাত্রীবাহী বাস থেকে আটক শিশুসহ সাত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়। এর আগে, গতকাল শুক্রবার তাঁরা চট্টগ্রামে ইটভাটার কাজে যোগ দিতে কক্সবাজার থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।

আটক হওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা হলেন ইউনুছ মিয়া (৫০), সৈয়দ নুর (৩৫), মো.

হোসেন মোবারক (৭), রশীদ আহমেদ (৪৫), সৈয়দুল আমিন (২২), রবি আলম (১৯) ও ওমর ফারুক (২৮)। তাঁরা সবাই কক্সবাজারের কুতুপালং, বালুখালী ও টেংখালী শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে স্টার লাইন পরিবহনের বাসে ওঠেন সাত রোহিঙ্গা শরণার্থী। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট এলাকার একটি ইটভাটার কাজে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের। তাঁদের কথায় ও আচরণে ওই বাসে থাকা যাত্রীদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে বাসের যাত্রীরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় চলন্ত বাসের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্টার লাইন পরিবহনের চালক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিরসরাইয়ের বারইয়ার হাট এলাকায় না নামিয়ে ফেনীর দিকে নিয়ে আসেন। পরে বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনে দাঁড়ায়। গতকাল রাত ১০টার দিকে বাসের যাত্রীরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে ওই সাত রোহিঙ্গা নাগরিককে তুলে দেন। পরে তাঁদের ফেনী মডেল থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আটক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ দুপুরে ফেনী মডেল থানা থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাহুল গান্ধীর তোপের মুখে আরএসএসপ্রধান

কংগ্রেস নেতা ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধীর তোপের মুখে পড়লেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নতুন সদরদপ্তর উদ্বোধনের দিন গতকাল রাহুল বলেন, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে যে মন্তব্য সংঘপ্রধান করেছেন, অন্য দেশ হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতো, বিচারের মুখোমুখি করা হতো। খবর এনডিটিভির।

রাহুল বলেন, মোহন ভাগবত দেশবাসীকে অপমান করেছেন, অসম্মান করেছেন। সংবিধানের অমর্যাদা করেছেন এই মন্তব্য করে, সংবিধান আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক নয়। গত মঙ্গলবার ইন্দোরে এক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালে নয়, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে যেদিন অযোধ্যায় রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

ওই দিনই দেশের সার্বভৌমত্ব নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভাগবতের ওই মন্তব্য ঘিরে বিরোধীরা মঙ্গলবারই সরব হয়েছিলেন। বুধবার সকালে ৯/এ কোটলা রোডে কংগ্রেসের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনের পর রাহুল তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে সরব হন।

রাহুল বলেন, দু-তিন দিন অন্তর মোহন ভাগবত ভারতের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে নিজের ভাবনার কথা শোনাচ্ছেন। মঙ্গলবার তিনি যা বলেছেন, তা দেশদ্রোহ। কারণ, তিনি দেশের সংবিধানকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন। অস্বীকার করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ