আশ্রয়শিবির থেকে পালানো ৭ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে ফেরত
Published: 11th, January 2025 GMT
ফেনীতে যাত্রীবাহী বাস থেকে আটক শিশুসহ সাত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়। এর আগে, গতকাল শুক্রবার তাঁরা চট্টগ্রামে ইটভাটার কাজে যোগ দিতে কক্সবাজার থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।
আটক হওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা হলেন ইউনুছ মিয়া (৫০), সৈয়দ নুর (৩৫), মো.
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে স্টার লাইন পরিবহনের বাসে ওঠেন সাত রোহিঙ্গা শরণার্থী। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট এলাকার একটি ইটভাটার কাজে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের। তাঁদের কথায় ও আচরণে ওই বাসে থাকা যাত্রীদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে বাসের যাত্রীরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় চলন্ত বাসের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্টার লাইন পরিবহনের চালক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিরসরাইয়ের বারইয়ার হাট এলাকায় না নামিয়ে ফেনীর দিকে নিয়ে আসেন। পরে বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনে দাঁড়ায়। গতকাল রাত ১০টার দিকে বাসের যাত্রীরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে ওই সাত রোহিঙ্গা নাগরিককে তুলে দেন। পরে তাঁদের ফেনী মডেল থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আটক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ দুপুরে ফেনী মডেল থানা থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাদিকে গুলির ঘটনা আ.লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ: নাহিদ
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
দুর্নীতি-সন্ত্রাসের অভিযোগ পেলে প্রার্থিতা বাতিল: নাহিদ
নাহিদ ইসলাম বলেন, “হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ।”
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে নরমালাইজ করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা দেখছি।”
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সব জায়গায় আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা, প্রশাসনিকভাবে প্রতিহত করা এবং ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার কথা বলেছি।”
পতিতরা নির্বাচন ঠেকাতে চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ ফেরাতে হবে।”
নাহিদ বলেন, “আমরা সর্বাত্মকভাবে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখব বলেছি। হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।”
এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৈঠকে তিনটি দলের দুজন করে প্রতিনিধি অংশ নেন।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন-দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন-দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
এছাড়া এনসিপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ