১. স্বপ্নপূরণের সংগ্রাম

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির যাত্রাপথটা সহজ না। প্রতিটি ধাপেই আছে কষ্ট, ত্যাগ ও চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলোকে শক্তিতে পরিণত করে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যাওয়ায় সফলতার দরজা খুলে গেছে।

২. প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ

আমার প্রস্তুতির মূল ভিত্তি ছিল প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ। বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, চিহ্নিত করতাম। পড়াগুলো ‘সর্বোচ্চ’, ‘মাঝারি’ ও ‘কম গুরুত্বপূর্ণ’—এভাবে ভাগ করতাম। জানা বিষয় এড়িয়ে দুর্বল অংশে বারবার মনোযোগ দিতাম। এতে করে সময় বাঁচে, কমে পড়ার চাপ। প্রতিদিন ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা পূরণে মনোযোগ দিতাম।

আরও পড়ুনবুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা হচ্ছে তো?০৬ অক্টোবর ২০২৪৩.

রিভিশন

আমার সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি ছিল রিভিশন। নতুন কিছু শেখার চেয়ে পুরোনো বিষয়গুলো বারবার রিভিশন দিয়েছি। মডেল টেস্ট সমাধান করে সময় ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাকুরেসির মাত্রা উন্নত করেছি। পরীক্ষার পর প্রতিটি ভুল বিশ্লেষণ করে চিহ্নিত করতাম। নিশ্চিত করতাম, পরে যেন ভুল না হয়। ভুলগুলো লাল কালি দিয়ে দাগিয়ে রাখতাম, বারবার পড়তাম।

৪. অফলাইন পরীক্ষা ও অনুশীলন

অফলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ প্রস্তুতিকে দৃঢ় করেছে। এটি পরীক্ষার হলে সময় ব্যবহারের কৌশল এবং মানসিক চাপ সামলানোর দক্ষতা গড়ে তোলে। প্রতিটি পরীক্ষার ভুল বিশ্লেষণ করতাম এবং সেগুলো সংশোধন করতাম। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ত, দূর হতো পরীক্ষাভীতি।

৫. মানসিক চাপ

যখন হতাশা বা চাপ বোধ করেছি, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। তারা আশ্বস্ত করত, সাহস জোগাত। বড় ভাইয়েরা বলতেন, ‘তোমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা কোরো, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’ এই সাপোর্ট আমাকে নতুন উদ্যমে সামনে এগোতে সাহায্য করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মো. অপু শাজী

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ