অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে শতাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এই সিদ্ধান্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে মানুষের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে জনরোষ বৃদ্ধি পাবে।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমির এ কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে সরকার শুল্ক–কর বৃদ্ধির সহজ পথ বেছে নিয়েছে। এতে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের খরচ আরও বেড়ে যাবে। সাধারণ মানুষ এমনিতেই চাপের মধ্যে আছে, কর বাড়ানোয় পরিস্থিতি আরও তীব্র হবে।

আরও পড়ুনশুল্ক–কর বাড়ায় পকেট থেকে যাবে ১২ হাজার কোটি টাকা ১৪ ঘণ্টা আগে

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়বে এবং গরিব ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনযাপন আরও কঠিন হয়ে পড়বে উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, পরোক্ষ কর ধনী-গরিব সবার জন্য সমান। পরোক্ষ কর বৃদ্ধি করা হলে ধনীদের সমস্যা হয় না, সমস্যা গরিবের। এ পরিস্থিতিতে জনগণের ওপর যাতে অর্থনৈতিকভাবে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ