কুষ্টিয়ায় বেপরোয়া গতিতে চলা মোটরসাইকেলের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি ধাক্কা লাগায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের নিপলু বিশ্বাসের ছেলে মো. নাহিন (১৬) ও একই উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে মো. সিয়াম (১৫)।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার কুষ্টিয়া-পাবনা আঞ্চলিক মহাসড়কের যাত্রী ছাউনি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০টি মোটরসাইকেলে করে উঠতি বয়সী কয়েকজন কিশোর লালন শাহ সেতু থেকে ভেড়ামারা অভিমুখে বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিলো। সেসময় পাবনা অভিমুখে যাওয়া একটি পিকআপের সাথেএকটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী নাহিন ও সিয়াম মারাত্মকভাবে আহত হন। 

স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে নাহিন নামের কিশোরের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিয়াম নামের অপর কিশোরও মারা যান।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল রব তালুকদার দুই কিশোরের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের পরিবারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া পিকআপটিকেও খোঁজা হচ্ছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গোমস্তাপুরে ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে একটি আবাসিক মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাদের একজন এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপরজনের মৃত্যু হয়। 

নিহতরা হলো- গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লেবুডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া খাতুন (১২) ও একই ইউনিয়নের বেগপুর গ্রামের সবুর আলীর মেয়ে জামিলা খাতুন (১০)।

স্থানীয়রা জানান, তানিয়া ও জামিলা ‘শেফালী বেগম মহিলা নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র শিক্ষার্থী। শুক্রবার দিবাগত রাতে হঠাৎই তারা অসুস্থ হয়ে বমি করে। সহপাঠীরা বিষয়টি শিক্ষককে জানান। সেসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পথেই একজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যায়।

মাদ্রাসার শিক্ষক শাহিদা খাতুন বলেন, “রাতে খাবার খাওয়ার পর সব শিক্ষার্থী সুস্থই ছিল। হঠাৎ করে রাত আড়াইটার দিকে জামিলা বমি করে। সঙ্গে রক্তও বের হয়। এরপর তানিয়াও বমি করতে শুরু করে। আমরা তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। কীভাবে তাদের মৃত্যু হলো, তা আমরা বুঝতে পারছি না।”

রাধানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, “রাতে হঠাৎ মহিলা মাদ্রাসার দুজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেসময় মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদেরকে হাসপাতালে নেন। পথেই একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। সাপের কামড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।”

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার আব্দুল আলিম জানান, দুজনের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম বলেন, ‘‘মধ্যরাতের দিকে মাদ্রাসায় থাকা অবস্থায় তাদের বমি হয়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এবং ঘটনা সম্পর্কে জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”

ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে মরদেহ নেওয়া হবে বলে জানান গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম।

ঢাকা/শিয়াম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ