সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।
পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্রী ড.
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): মানসিকভাবে পজিটিভ থাকুন। আর্থিক সফলতা পাবেন। পেশাগত উন্নতি হবে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ধীরস্থির থাকুন। শারীরিক সুস্থতা নিয়ে টেনশন বাড়বে।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (৯-১৫ আগস্ট)
এ সপ্তাহের রাশিফল (২-৮ আগস্ট)
বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): কাজে বিরক্তি বোধ করবেন। অকারণে অর্থ খরচ হবে। মেজাজ চড়া থাকতে পারে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। সামাজিক কাজে ব্যস্ততা থাকবে। বড় ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। মনের কোনো আশা পূরণ হতে পারে।
মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): গবেষণামূলক কাজে সফলতা পাবেন। অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর্থিক লেনদেনে সফলতা পাবেন। কর্মে পরিপূর্ণতা পাবেন। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সফলতা পাবেন।
কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): এ সপ্তাহটি আপনার জন্য বেশ সম্ভাবনাময়। আর্থিক দিক খুব ভালো যাবে। প্রতিদিন অনেক প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারবেন। পারিবারিক ও কর্মজীবনে সুনাম বৃদ্ধি পাবে। কর্মক্ষেত্রে পজিটিভ থাকুন।
সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। মনের জোর ও প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়বে। সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।
কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাড়বে। ভাগ্যের বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে নানামুখী চাপে থাকতে পারেন। দাম্পত্য ক্ষেত্রে মানিয়ে চলতে হবে। অপ্রত্যাশিত কারণে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।
তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): আত্মবিশ্বাস বাড়বে। পারিবারিক শান্তি বৃদ্ধি পাবে। সামাজিক কাজে ব্যস্ততা বাড়বে ব্যবসায়িক ও পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। দুর্ঘটনার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন। রাগ, ক্ষোভ, হতাশা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় আপনার জন্য শুভ নয়। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। কোনো বন্ধুর সহযোগিতা পেতে পারেন। উদারতার কারণে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। রোমাঞ্চ শুভ। রাজনীতি ও জনসংযোগ কাজে সফলতা পাবেন। এ সপ্তাহে নানামুখী চাপে থাকতে পারেন।
ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): প্রেমে দূরত্ব বাড়বে। ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য বেশ ভালো সময়। শারীরিক বিষয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে। নিজের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অর্থ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): যেকোনো সূত্র থেকে অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে। প্রিয়জনের সান্নিধ্য আনন্দদায়ক হবে। অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়তে পারে। মেজাজ চড়া থাকতে পারে। বিদেশ সংক্রান্ত যোগাযোগ শুভ। একান্ত প্রয়োজন না হলে কোনো চুক্তি করবেন না।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো যাবে। পারিবারিক ক্ষেত্রে মানিয়ে চলা কঠিন হতে পারে। প্রিয়জনের সান্নিধ্য আনন্দদায়ক হবে। আর্থিক লেনদেনে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত আবেগ বা হীনমন্যতা দাম্পত্য ও পারিবারিক শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে পারে। গোপন শত্রুদের তৎপরতা বাড়বে।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): নতুন কোনো কাজের পরিকল্পনায় সাফল্য লাভ করবেন। কর্মক্ষেত্রে নানামুখী চাপের সম্মুখীন হবেন। পারিবারিক ও বিবাহিত জীবনে ভুল বুঝাবুঝি ও মানসিক দূরত্ব দূর হতে পারে।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল র জন য আর থ ক করব ন ব যবস আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম পর্বত ‘আমা দাবলাম’ জয় করছেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। গত ৪ নভেম্বর নেপাল সময় দুপর ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার এই পর্বতের চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
পর্বতারোহণ বিষয়ক অর্গানাইজেশন রোপ ফোরের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। তার এই অভিযানে সঙ্গী হিসাবে ছিলেন রোপ ফোরের আরেকজন তরুণ পর্বতারোহী আবরারুল আমিন অর্ণব।
আরো পড়ুন:
রঙ হারাচ্ছে অদম্য মেধাবীর ভবিষ্যতের স্বপ্ন
উপজেলায় এইচএসসিতে একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন অনুরাগ
আমা দাবলাম খাড়া বরফ দেয়াল, গভীর ক্রেভাস, ঝুলন্ত বরফ খণ্ড এবং কঠিন আবহাওয়ার জন্য পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পর্বত হিসেবে পরিচিত। তৌকিরের এই অভিযানটি ছিল বাংলাদেশি পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক গৌরবময় সংযোজন।
চূড়ায় পৌঁছার প্রতিক্রিয়ায় তৌকির বলেন, “আমা দাবলাম আমার কাছে শুধু একটা পর্বত নয়, এটা ছিল নিজের সীমা পরীক্ষা করার যাত্রা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকাটা তুলে ধরলাম, মনে হলো এটি শুধু আমার সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের সব তরুণের স্বপ্নের স্পন্দন।”
তিনি বলেন, “আমার এই অভিযানটা ছিল পৃথিবীর সব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য, যাদের জীবনটা কেটে যায় অন্যের ওপর ডিপেন্ড (নির্ভর) করে এবং চার দেয়ালের আলোতে পৃথিবী দেখে। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে আসা সব প্রাণী শক্তিশালী। আসুন, ডিপেন্ডেবল এই মানুষগুলোর ওপর আরো বিনয়ী হই, ভালোবাসা এবং সাহায্যে তৈরি করি তাদের নতুন পৃথিবী।”
যেভাবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
গত ১২ অক্টোবর দুঃসাহসিক এই অভিযানের জন্য দেশ ছাড়েন তৌকির। এরপর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় তার মূল অভিযান। হিমালয়ের পাহাড়ি বন্ধুর পথ ধরে ট্রেকিং করে তিনি বেস ক্যাম্পে পৌঁছান ২২ অক্টোবর। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তৌকির শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় কৌশল। যা এক্লিমাটাইজ রোটেশন নামে পরিচিত।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ২৯ অক্টোবর সামিটের কথা থাকলেও ২৭ অক্টোবর থেকে হিমালয়ের শুরু হয় তীব্র তুষার পাত। এই তুষার পাতের মধ্যেই তৌকির অবস্থান করেন আমা দাবলাম ক্যাম্প-১ এ। যার উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ফিট। ২৮ অক্টোবর আবহাওয়া আরো খারাপ হলে তাদের শেরপা লিডার সিদ্ধান্ত নেন বেস ক্যাম্পে ফিরে যাবার। তীব্র এই তুষার ঝড়ের মধ্যে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে শুরু হয় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।
৬৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম পর্বত
তুষার পাতের কারণে ফিক্সড রোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করলেও নতুন রুট ওপেন না করা পর্যন্ত সামিট পুশ সম্ভব হচ্ছিল না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচদিন। তরপর সুখবর আসে রুট ওপেন হবার। নভেম্বরের ২ তারিখ শুরু হয় আবার সামিট বিট। এইদিনে তৌকির পৌঁছে যান ১৯ হাজার ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-১ এ। এরপর ৩ তারিখ ইয়োলো টাওয়ার খ্যাত ১৯ হাজার ৬৮৫ ফিট উচ্চতার ক্যাম্প-২ এ পৌঁছান। বিশ্রাম নিয়ে শুরু করেন সামিট পুশ। তীব্র বাতাস, ফিক্সড রোপে অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং আইস ফলকে উপেক্ষা করে ৪ নভেম্বর ২২ হাজার ৩৪৯ ফিট উচ্চতার ‘আমা দাবালাম’ চূড়ায় পৌছান তিনি।
তৌকির বিশ্বাস করেন, “স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থে জ্বলে, তবে পাহাড়ও নত হয়। প্রতিটি শিখর আমাদের শেখায়, সীমা কেবল মনেই থাকে, সফলতায় নয়।”
তরুণ এই পর্বতারোহী এবারের স্বপ্ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এখন প্রয়োজন তার সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তৌকির ২০২৬ সালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আবারো উড়াতে চান বাংলাদেশের পতাকা।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার সন্তান আহসানুজ্জামান তৌকির। ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই পর্বতগুলো আরোহণ করেন তিনি। পর্বতগুলো হলো ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক, ৬১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক ও ৬৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক।
তারও আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তৌকির খুম্বু রিজিওনের ৫০৭৬ মিটার উচ্চতার নাগা অর্জুন এবং ৬১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন।
তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু-সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তিনি। চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল-ই তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন
ঢাকা/মাসুদ