গত বছর ঘরের মাঠেই স্বপ্নটা পূরণ হয়ে যেত। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তাপের কারণে হয়নি। এবার আর কিছুই তাকে আটকাতে পারছে না।
বলা হচ্ছে বাংলাদেশে নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির কথা। বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করবেন এমন স্বপ্ন ছিল তার। গত বছর অক্টোবরে বাংলাদেশে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা ভেবে আইসিসি বিশ্বকাপ সরিয়ে নেয়। তাতে জেসির স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। এবার সেই অধরা স্বপ্ন পূরণ হবার পথে। আগামী শনিবার মালয়েশিয়ায় শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টে খেলা পরিচালনার জন্য আজ ২০ সদস্যের ম্যাচ অফিশিয়ালের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। সেই তালিকায় আছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার জেসি।
৩৪ বছর বয়সী সাথিরা এখন পর্যন্ত মেয়েদের ২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। গত বছর জুলাইয়ে নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতেও আম্পায়ারিং করেছেন। ডিসেম্বরে মালয়েশিয়াতেই হয়ে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতেও তাকে আম্পায়ারের ভূমিকায় দেখা গেছে। এবার তিনি পা রাখছেন বিশ্বকাপে।
আরো পড়ুন:
সিলেটকে দুইশ রানের চ্যালেঞ্জ চিটাগংয়ের
কামিন্স ও হ্যাজলউডকে নিয়েই অজিদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল
১৩ দেশের ১৯ আম্পায়ার বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করবেন। রেফারি হিসেবে রয়েছেন ৪ দেশের ৪ জন। ম্যাচ অফিশিয়ালদের শুভকামনা জানিয়ে আইসিসির আম্পায়ার্স ও রেফারিজ বিভাগের ব্যবস্থাপক শন ইয়াসে বলেছেন, ‘‘এই ইভেন্টে নির্বাচিত আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের অভিনন্দন। তারা দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে এটা অর্জন করেছেন। এটি একটি বৈচিত্র্যময় দল, যা সত্যিই চমৎকার। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তারা ভালো পারফর্ম করবেন এবং কেউ কেউ খেলাটির আরও উঁচু স্তরে দায়িত্ব পালন করার দিকে অগ্রসর হবেন।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক