শিল্প খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি দেশের শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির স্বার্থেই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার করে গ্যাস–সংকট উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের ১৪ বছরের শাসনামলে সাতবার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছে। গ্যাসের সংকটের কারণে তখন শিল্পকারখানা রেশনিং পদ্ধতিতে চলত। বর্তমানেও গ্যাসের সংকট চলছে। এই সংকট উত্তরণের জন্য দেশের সব সম্ভাবনাময় জায়গায় গ্যাস কূপ খনন করা প্রয়োজন। সঙ্গে সঙ্গে বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করে অতি দ্রুত গ্যাস–সংকট দূর করা দরকার। মূল্য বৃদ্ধি করে গ্যাস–সংকটের সমাধান করা যাবে না। বরং সংকট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকার ‘গোপন সমঝোতা’ করলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গ হতে পারে: গোলাম পরওয়ার

সরকার একটি দলের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করলে ন্যক্কারজনকভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেছেন, গোপন সমঝোতা করে সরকার আরপিওর সর্বশেষ সংশোধনী বাতিল করে কোনো নিবন্ধিত দলের প্রার্থী জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন বলে আদেশ জারি করতে পারে।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার এ অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘নির্বাচনী জোট গঠিত হলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে—গত ২৩ অক্টোবর এমন বিধান সংযোজন করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিএনপির একজন নেতার সঙ্গে জনৈক উপদেষ্টার তথাকথিত “জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট”-এর প্রেক্ষিতে নিজেদের অনুমোদিত সেই আদেশ বাতিল হতে যাচ্ছে।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) যদি বাতিল করা হয়, তবে তা হবে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অগণতান্ত্রিক ও স্পষ্টতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বিএনপির এক উপদেষ্টার কথিত ‘জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট’-এর নামে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় যদি এটি বাতিল করা হয়, তাহলে আসন্ন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণের বড় প্রশ্নের জন্ম দেবে।

নির্বাচনের মাত্র চার মাস আগে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতা ও সরকারের মধ্যে অবস্থানকারী কোনো উপদেষ্টার যোগসাজশে এভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যদি ভঙ্গ হয়, তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকার ‘গোপন সমঝোতা’ করলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গ হতে পারে: গোলাম পরওয়ার