বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের উদ্যাগে ৩ দিন ব্যাপী  চক্ষু পরীক্ষা সেবা সমাপনী অনুষ্ঠিত  হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় মোবাইল আই হসপিটালের পক্ষ থেকে  বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের কবিলেরমোড়স্থ সাবেক চেয়ারম্যানের বাসভবনের সামনে এ চিকিৎসা সেবার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।

রেটিনা, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, ছানি রোগী বাছাই ও চোখের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা প্রদান করেন ফেলো মেডিকেল ও সার্জিক্যাল ভিট্রিও- রোটিনা সহকারি অধ্যাপক ডাঃ নাহাল মোস্তাক খাঁন অর্ণব।

চিকিৎসা সেবা প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন মোবাইল আই হসপিটালের এসিস্টেন এস.

এম. ইশতিয়াক উদ্দিন সোমিক প্রমুখ।

সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল  গণমাধ্যমকে জানান, গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে চক্ষু পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। আজ সোমবার চক্ষু পরীক্ষার সমাপনি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২ দিনে চক্ষু পরীক্ষার জন্য প্রচুর রোগী সমাগম ঘটে। 
 

উৎস: Narayanganj Times

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ