কোনো ব্যাংকের পরিচালক টানা তিন মাস দেশের বাইরে থাকলে তার পক্ষে একজন বিকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে পারেন। বছরে একবারের জন্য এরকম নিয়োগ দেওয়া যায়। এতদিন বিকল্প পরিচালক নিয়োগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগতো না। কেবল অবহিত করতে হতো। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বিকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে। আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক এমন এক সময়ে বিকল্প পরিচালক নিয়োগের নীতিমালা কঠিন করল যখন সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই পলাতক থাকায় পদ হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক নির্দেশনার মাধ্যমে অনলাইনে পরিচালনা পর্ষদের সভায় অংশ নেওয়ার বিধান বাতিল করায় এ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর থেকে অনলাইনে পরিচালনা পর্ষদের সভায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ এন আশিকুর রহমানকে বিদেশ থেকে অনলাইনে সভা করার বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক এমপি। তাকে অনলাইনে অংশ নেওয়ার সুযোগের ফলে ব্যাংকটির পরিচালকদের ক্ষুব্ধ অংশ সোমবার গভর্নর ড.

আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আজ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভা হওয়ার কথা রয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ