এটা আমাদের সুখের বিবাহবিচ্ছেদ: আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী
Published: 15th, January 2025 GMT
বলিউডের অন্যতম আলোচিত তারকা জুটি আমির খান ও কিরণ রাও। ব্যক্তিগত জীবনে এই দম্পতিকে হাসি-খুশি দেখা গেলেও জীবনের চলার পথে ছন্দপতন ঘটে। ফলে, ২০২১ সালে আলাদা হয়ে যান তারা।
আমির-কিরণের সংসার ভাঙা নিয়ে জল্পনা কম হয়নি। এখনো তা চলমান। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একাধিকবার কথাও বলেছেন কিরণ রাও। কয়েক দিন আগে ফিল্মফেয়ারকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে কিরণ রাও দাবি করেন— “এটি তাদের ‘সুখের বিবাহবিচ্ছেদ’।”
কিরণ রাও বলেন, “এটি (বিবাহবিচ্ছেদ) খুবই মসৃণভাবে ঘটেছিল। কারণ এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের সময় লেগেছিল; যেখানে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। ডিভোর্সের ব্যাপারটি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন আলোচনা করেছি। আমরা যখন বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিই, তখন তা খুবই সচেতনভাবে নিয়েছিলাম। আমরা কখনো মারামারি করিনি। কিন্তু আমাদের তর্ক হতো। আবার সেটা ১২ ঘণ্টার মধ্যে মিটেও যেত। এ ধরনের মতবিরোধ বাবা-মায়ের সঙ্গেও হতে পারে।”
আরো পড়ুন:
গায়িকা নেহা কাক্করকে গ্রেপ্তারের ছবির সত্যতা কী?
‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমার রজত জয়ন্তী: স্মৃতির ডায়েরি খুললেন হৃতিক
আমির খানের সঙ্গে কিরণ রাওয়ের সম্পর্ক প্রেম-শ্রদ্ধার মোড়কে আবদ্ধ। এ তথ্য উল্লেখ করে পরিচালক কিরণ রাও বলেন, “সে (আমির) আমার বন্ধু। কেবল তাই নয়, নানাভাবে সে আমার শিক্ষক। সে আমার সাপোর্ট সিস্টেম এবং সবসময় এটা ছিল। কিন্তু এমন কিছু দিন এসেছে, যখন সে আমার প্রতি রাগ করেছে।”
আমির খান ও কিরণ রাও তাদের ডিভোর্সকে ‘সুখের বিবাহবিচ্ছেদ’ বলে অভিহিত করেন। এই তথ্য উল্লেখ করে আমিরের মা-সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন কিরণ রাও। তার ভাষায়— “তার (আমিরের মা) মা এখনো আমার শাশুড়ির মতো। জুনায়েদ, ইরা আমার প্রিয় বন্ধু।”
‘লগান’ সিনেমার সেটে আমির ও কিরণের পরিচয় হয়। এরপর তাদের বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। তারও আগে ভালোবেসে পাশের বাড়ির মেয়ে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। কিন্তু তার সেই সংসারও টেকেনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হলিউড অভিনেতা পেরির মৃত্যুর পর কেন আলোচনায় ‘কেটামিন কুইন’ খ্যাত এই নারী
এমন একজন নারী তিনি, আপাতদৃষ্টিতে যাঁর কোনো কিছুর অভাব নেই। ভালো পরিবেশে বেড়ে ওঠা, নামীদামি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা বা বন্ধু-বান্ধবের বিশাল জগৎ—কোনো কিছুরই তাঁর অভাব ছিল না।
বলা হচ্ছে জাসভিন সাঙ্গার কথা। তিনি নিজের জীবনের একটি বড় অধ্যায় কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকেও আড়ালে রেখেছিলেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক সাঙ্গা হলিউডের ধনী ও তারকাদের কাছে মাদক সরবরাহ করতেন। তাঁর একটি ‘গোপন ডেরা’ ছিল, যেখানে কোকেন, জ্যানেক্স, নকল অ্যাডারল পিল ও কেটামিন রাখা হতো।
কেটামিনের ৫০টি শিশি সরবরাহ করার পর সাঙ্গার ব্যবসা এবং আনন্দঘন মোহগ্রস্ত জীবন মুহূর্তে শেষ হয়ে যায়। কারণ, তাঁর কেটামিনের চালানটা শেষ পর্যন্ত পৌঁছেছিল জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ ‘ফ্রেন্ডস’-এর অভিনেতা ম্যাথিউ পেরির হাতে। অতিরিক্ত কেটামিন সেবনে ২০২৩ সালের অক্টোবরে পেরির মৃত্যুর হয়।
‘তিনি (সাঙ্গা) উচ্চশিক্ষিত মানুষ। কিন্তু মাদক পাচারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।বিল বডনার, বিশেষ এজেন্ট ইন চার্জ, লস অ্যাঞ্জেলেসের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনপেরির মৃত্যুর ঘটনায় সাঙ্গাসহ পাঁচজন দোষ স্বীকার করেছেন, যাঁদের দুজন চিকিৎসক। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এ মামলার শেষ অভিযুক্ত হিসেবে সাঙ্গাকে দণ্ড দেওয়া হতে পারে। মামলাটির তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে একটি গোপন কেটামিন নেটওয়ার্কের খবর উঠে এসেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে সাঙ্গাকে সর্বাধিক ৬৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। ফেডারেল আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজার রায় ঘোষণা করবেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিইএ) বিশেষ এজেন্ট ইন চার্জ বিল বডনার বিবিসিকে বলেছেন, ‘তিনি (সাঙ্গা) উচ্চশিক্ষিত মানুষ। কিন্তু মাদক পাচারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। মাদক পাচার থেকে প্রাপ্ত অর্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে ব্যয় করতেন।’
সাঙ্গা তুলনামূলকভাবে একটি বড় মাদক পাচার নেটওয়ার্ক চালাতেন। এ নেটওয়ার্ক হলিউডের ধনীদের কাছে মাদক পাচার করত।
মামলার নথি মতে, পেরি শুরুর দিকে হতাশাজনিত সমস্যার চিকিৎসা হিসেবে বৈধ ও চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কেটামিন ব্যবহার করতেন। কিন্তু পরে তিনি চিকিৎসকের নির্দেশনার চেয়ে বেশি পরিমাণে কেটামিন সেবন করতে চাইলেন।
হাস্যোজ্জ্বল অভিনেতা ম্যাথিউ পেরি। এনবিসি টেলিভিশন সিরিজ ‘স্টুডিও ৬০ অন দ্য সানসেট স্ট্রিপ’-এর প্যানেল অনুষ্ঠানে। ২১ জুলাই ২০০৬