ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বুধবার সকাল ৬টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন কামাল আহমেদ মজুমদার। অচেতন অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এরপর তাকে সকাল সোয়া ৭টার দিকে নতুন ভবনের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

কারারক্ষীরা জানান, সকালের দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হওয়ার কারণে কামাল আহমেদ মজুমদারকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো.

ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢামেকে নিয়ে আসেন কারারক্ষীরা। পরে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মিস সুইজারল্যান্ড ফাইনালিস্টকে হত্যার পর মরদেহ টুকরা করেন স্বামী

সুইজারল্যান্ডের সাবেক মিস সুইজারল্যান্ড ফাইনালিস্টকে (চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত) হত্যা করে মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছিল। শুধু তা–ই নয়, মরদেহের কিছু কিছু অংশ ব্লেন্ডারে পিষে ফেলা হয়েছিল। অভিযোগ, এভাবে তাঁকে হত্যা করেছেন তাঁরই স্বামী। তদন্ত শেষে গতকাল বুধবার থমাস নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের বেসেল-ল্যান্ডশাফট অঞ্চলের সরকারি প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানায়, নিহত নারীর নাম ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচ। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৮ বছর বয়সী এ নারীকে বেসেল শহরের কাছে বিনিংগেনে নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গতকাল জোকসিমোভিচের স্বামী ৪৩ বছর বয়সী থমাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। থমাস শ্বাস রোধ করে জোকসিমোভিচকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমের গোপনীয়তার নীতির কারণে থমাসের পুরো নাম প্রকাশ করা হয়নি।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও আদালতের নথি অনুসারে, মেশিনচালিত করাত, ছুরি এবং বাগান পরিচর্যার কাঁচি দিয়ে জোকসিমোভিচের শরীর কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছিল। তবে শুধু গর্ভাশয় আলাদা করে সরানো হয়েছিল। কিছু অংশ বড় ব্লেন্ডারে পিষে রাসায়নিক দ্রবণে গলানো হয়েছিল। এসব কাজ করার সময় মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ভিডিও দেখছিলেন থমাস।

জোকসিমোভিচকে হত্যার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে তাঁর বাবার। জামাকাপড় ধোয়ার ঘরে (লন্ড্রি রুম) কালো ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসা সোনালি চুল দেখে তিনি ভয়ংকর কিছুর আশঙ্কা করেন। তদন্ত চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে ব্লেন্ডার, দেহের কিছু অংশ, চামড়ার টুকরা ও হাড়ের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচের স্বামীর নাম হিসেবে সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে শুধু থমাস উল্লেখ করা হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ