সূচকে যুক্ত হলাে অধিকাংশ কােম্পানি, উত্থান সামান্য
Published: 19th, January 2025 GMT
তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ৩২৬টির শেয়ার নিয়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গণনা হয়েছে গতকাল রোববার। একসঙ্গে অনেকগুলো শেয়ার সূচকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সূচকে বড় উত্থান বা পতনের আশঙ্কা করেছিলেন কেউ কেউ। তবে তেমনটি হয়নি। গতকাল সূচকটি ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫১৫৪ পয়েন্টে উঠেছে। আগের কয়েক দিনের তুলনায় এটা খুবই স্বাভাবিক।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপির নিয়মে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বশেষ এক বছর ২৫৩ শেয়ার নিয়ে ডিএসইএক্স সূচকটি গণনা হয়েছে। পুনর্মূল্যায়নে পুরোনো তালিকা থেকে ১৪ কোম্পানির শেয়ার বাদ পড়েছে, নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৮৭টি। সর্বশেষ ছয় মাসের লেনদেনের ভিত্তিতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, ফ্রি-ফ্লোট বা সচরাচর লেনদেনযোগ্য শেয়ারের ভিত্তিতে যে বাজার মূলধন হয়, তার ৯৬ দশমিক ৩২ শতাংশ ধারণ করছে নতুন করে সাজানো সূচকটি। সব শেয়ার বিবেচনায় সর্বমোট বাজার মূলধনে এই শেয়ারগুলোর অংশ আরও বেশি; ৯৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
নতুন সূচক গণনায় ব্যাংক খাতের তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির সবগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যা ছিল ২০টি। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৮টি এবং বস্ত্র খাতের ১০ শেয়ার সূচক গণনায় নেই।
সর্বশেষ বাজারদর অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির সব শেয়ার বিবেচনায় বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। তবে ফ্রি-ফ্লোট বিবেচনায় বাজার মূলধন ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সূচকভুক্ত ৩২৬ কোম্পানির অংশ ছিল যথাক্রমে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা।
অধিকাংশ শেয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরও গতকাল সূচকে বড় উত্থান-পতন না হওয়ার কারণ, যেসব কোম্পানির ফ্রি-ফ্লোট বাজার মূলধন সবচেয়ে বেশি, সেগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলোর দরের ওঠানামা বহুদিন ধরে খুবই সীমিত হয়ে আছে।
গতকালের সূচকের ওঠানামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কহিনূর কেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি ৪২ টাকা ৮০ পয়সা দরবৃদ্ধি সূচকে যোগ করেছে ৩ পয়েন্ট। ইউনাইটেড পাওয়ারের ৭ টাকা ৬০ পয়সা দরবৃদ্ধি পৌনে ২ পয়েন্ট যোগ করে। বিপরীতে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারপ্রতি ৬ টাকা ৩০ পয়সা দরপতনে সূচকটি হারায় প্রায় সাড়ে ৪ পয়েন্ট।
বাজার সংক্ষেপ
গতকাল ১৭১ শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৬০টির দর কমেছে, অপরিবর্তিত ছিল ৬৩টির দর। লেনদেন হয়েছে ৩৬৮ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের থেকে ৪ কোটি টাকা বেশি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ দিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর থেকে সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। পরে তা পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ফিরে আসে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২১.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.৭০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪.১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৬২টি কোম্পানির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৬টির।
এ দিন ডিএসইতে মোট ৪৫৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২.০৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.০২ পয়েন্ট কমে ৮৭৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৫.৪৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৬১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮৭টি কোম্পানির, কমেছে ৪৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টির।
সিএসইতে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি//