প্রতিটি অলিগলিতে ওসিদের পদচারণা থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 20th, January 2025 GMT
মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘‘যে কোনো উদ্ভূত সমস্যা তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করার জন্য থানার প্রতিটি অলি গলিতে ওসিদের পদচারণা থাকতে হবে।’’  
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপির ৫০টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, ‘‘ভুক্তভোগী বা পুলিশি সেবা প্রত্যাশী সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। থানায় কর্মরত অধীনস্থ সবাইকে নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিং করতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের মানুষের নিরাপত্তার যে পবিত্র দায়িত্ব দিয়েছেন তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় এজন্য সঠিক পথে চলতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে যত বেশি সম্পর্ক তৈরি করবেন তত বেশি তথ্য পাবেন। এজন্য ওসিদের থানার প্রতিটি অলিগলিতে ঘুরতে হবে, মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। তথ্য বেশি পেলে অপরাধ ঘটার পূর্বে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।’’
এ ছাড়া মামলাযোগ্য সব ঘটনায় যথাসময়ে মামলা নিতে এবং জিডির বিষয়ে যথাযথ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন তিনি।
থানা এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অযথা যে সব মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কার ঘোরাঘুরি করে সেগুলো তল্লাশি করতে হবে। ছিনতাই প্রতিরোধে বিশেষ করে ভোর বেলায় পুলিশি টহল আরো জোরদার করতে হবে। চাঁদাবাজ যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’’
মতবিনিময় সভায় ভাটারা থানার এএসআই মো.                
      
				
গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভাটারার জে-ব্লক এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া সত্ত্বেও অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাটারা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও কুখ্যাত ছিনতাইকারী মো. মোবারক হোসেন নাফিজকে (২২) গ্রেপ্তার করেছিলেন এএসআই মেসবাহ। এ ছাড়া চলমান বিশেষ অভিযানে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি ও মোহাম্মদপুর থানার ওসি অধিক সংখ্যক পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করায় তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিভিন্ন মামলার ২ সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা ও বন্দর থানার মাদক মামলার ২ সাঁজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃতরা হলো বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের শাহীমসজিদস্থ ঠাকুরবাড়ী এলাকার মনা মিয়ার ছেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার রুজুকৃত ৪৯(১)২২ নং ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার ১ বছরের সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী শাকিব (২৫) ও বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত সানোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে বন্দর থানার রুজুকৃত ৬(৪)২৩ নং মাদক মামলার ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সোহেল (৪৫)।
ধৃতদের সোমবার ( ৩ নভেম্বর) দুপুরে পৃথক সাঁজা ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (২ নভেম্বর) রাতে বন্দর থানার শাহীমসজিদ ও দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় পৃথক ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বন্দর ফাঁড়ী এএসআই বিরাজসহ সঙ্গীয় র্ফোস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহীমসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার ১ বছেরর সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী শাকিবকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ছাড়াও একই রাতে বন্দর থানার অপর এএসআই হাবিবুর রহমানসহ সঙ্গীয় র্ফোস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত থানার  মাদক মামলার ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।