গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সোহান মোল্লাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন। 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মিকাইল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানা গেছে।

পত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গোপালগঞ্জ জেলাধীন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.

সোহান মোল্লাকে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ড করার জন্য যুগ্ম-আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হইল।

আরো পড়ুন:

ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি শনিবার

পাবিপ্রবি ছাত্রদল নেতা বকুল বহিষ্কার

পত্রে আরো বলা হয়, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহান মোল্লার সঙ্গে সাংগঠনিক কোনো কর্মকাণ্ড না করার জন্য অনুরোধ করা হইল।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, সংগঠন বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যে কারণে সোহান মোল্লার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটাই কথা, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারো স্থান ছাত্রদলে হবে না।” 

এর আগে, আজ ভোরের দিকে উপজেলার গিমাডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০২ পিস ইয়াবাসহ মো. সোহান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরে, টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র পদ থ ক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ