মার্কিন নভোচারীরা মঙ্গল গ্রহে গিয়ে বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনা করবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার পর দেওয়া ভাষণে তিনি এ প্রত্যয়ের কথা দেশবাসীকে জানিয়ে দেন। 

নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আকাশেও যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বজায় থাকবে।’  যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা বাড়ানোর ও মঙ্গল গ্রহে মার্কিন নভোচারী পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আবার নিজেকে একটি বর্ধমান জাতি হিসেবে দেখতে পাবে। আমাদের সম্পদ ও সীমানা বাড়াতে হবে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা মহাবিশ্বে আমাদের ভাগ্য অনুসরণ করব। মঙ্গল গ্রহে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করব। এই ঘোষণার সময় হাত উঁচিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক।

নিজের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মার্কিন নাগরিকরা কথা বলেছেন। ‘আমি এটার প্রমাণ হিসেবে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি যে, অসম্ভব বলে কিছু বিশ্বাস করা কখনও উচিত নয়। অসম্ভবকে সম্ভব করাটাই আমরা আমেরিকায় সবচেয়ে ভালো পারি। যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করা বা ভয় দেখানো যাবে না। 

তিনি বলেণ, ‘আমরা ব্যর্থ হবে না। এখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত, সার্বভৌম এবং স্বাধীন। ভবিষ্যৎ আমাদের এবং আমাদের স্বর্ণযুগ সবে শুরু হয়েছে। 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বোমা মারলেও ভয় পাব না, বললেন ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ভয়হীন ও পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কেউ বোমা মারলেও তিনি ভয় পাবেন না।

আজ মঙ্গলবার সকালে পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারপতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার তরান্বিত করতে গত ৮ মে ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়। আজকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল-২–এর কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আল্লাহর ওপর নির্ভর করে পথ চলি। তার ওপর নির্ভর করে কাজ করি। কেউ বোমা মারলেও ভয় পাব না। কেউ গুলি করে মেরে ফেললে আমার সব গুনাহ নিয়ে যাবে। ফলে আমার ভয়ের কারণ নেই। আমি কবরের পাশে দাঁড়ানো, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ভয়ের কিছু নেই। আমরা এই তরি বয়ে নিয়ে যাব।’

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, কিছু লোক গত ১৫ বছর ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। তারা নিষ্ঠুরভাবে শাসন করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস করেনি। মানুষ নিজেদের কথা বলতে পারেনি। সেই ফ্যাসিস্টরা এখনো ফিরে আসার চেষ্টা করছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শত শত ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে মানুষকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁদের অনেকে এখনো যথাযথ চিকিৎসা পাননি। বিচারকেরা চেষ্টা করছেন ছাত্র-জনতার দুর্ভোগ কমাতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তাঁদের নাম উল্লেখ করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভয়হীন ও পক্ষপাতহীনভাবে তাঁরা কাজ করবেন। তাঁদের কাছ থেকে ন্যায়বিচার আশা করা যায়। তাঁরা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও প্রক্রিয়া মেনে চলবেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বিষয়গুলোও মেনে চলবেন বলেও উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল-২–এর সদস্য বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারপতি নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ