পলিথিনের বিকল্প বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই সবাই সচেতন হলে এর ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে পলিথিন/পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধকরণ কার্যক্রম এবং কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে স্বেচ্ছাসেবকদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, পলিথিন উৎপাদন শ্রমিকরা মানবেতর পরিবেশে কাজ করলেও তা নিয়ে সোচ্চার নয় পলিথিন কারখানার মালিকরা। স্বার্থে আঘাত লাগছে বলেই পলিথিন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপের সমালোচনা করছে তারা। পলিথিন ব্যবহার বন্ধ না হলে দেশের পরিবেশ বাঁচানো সম্ভব হবে না। একবার ব্যবহার্য পলিথিন যেন ট্রাকে করে ঢাকার বাইরে যেতে না পারে, সেজন্যও পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

হর্ন বাজানো বন্ধের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের মতো এত আওয়াজের শহর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। বাংলাদেশের বাস বা ট্রাকের ৬৮ ভাগ চালক কানে শোনেন না। এখন সফল না ব্যর্থ এই প্রশ্ন না তুলে এটাকে সবাই জাতিগত প্রাধিকার এবং সামষ্টিক কাজ মনে করলে সফলতাটা খুব দূরে থাকবে না। আগামী মাস থেকে হর্নের ক্যাম্পেইন শুরু করব। সেখানে ছাত্রছাত্রীকে পাশে চাই।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিন বন্ধের কাজ ২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এরপর যখন ২০২৪ সালে আবার আমরা কাজটি শুরু করলাম তখন অনেকেই উৎসাহ দিচ্ছেন, অনেকেই আবার মনে করছেন কাজটি কেন এক্ষুনি হয়ে যাচ্ছে না। একটু অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন। অনেক নেতিবাচক কথা আমাদের শুনতে হয়। এটি কোনো সমস্যা নয়। 

তিনি বলেন, আমরা যখন পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে যাচ্ছি, তখন সব জায়গায় নয়, কোথাও কোথাও বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। পলিথিন ঢাকায় উৎপাদন করে অন্যান্য শহরে যেন না যায়, সে বিষয়ে ওসি ট্রাফিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ