সবাই সচেতন হলে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব: পরিবেশ উপদেষ্টা
Published: 21st, January 2025 GMT
পলিথিনের বিকল্প বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই সবাই সচেতন হলে এর ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে পলিথিন/পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধকরণ কার্যক্রম এবং কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে স্বেচ্ছাসেবকদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, পলিথিন উৎপাদন শ্রমিকরা মানবেতর পরিবেশে কাজ করলেও তা নিয়ে সোচ্চার নয় পলিথিন কারখানার মালিকরা। স্বার্থে আঘাত লাগছে বলেই পলিথিন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপের সমালোচনা করছে তারা। পলিথিন ব্যবহার বন্ধ না হলে দেশের পরিবেশ বাঁচানো সম্ভব হবে না। একবার ব্যবহার্য পলিথিন যেন ট্রাকে করে ঢাকার বাইরে যেতে না পারে, সেজন্যও পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হর্ন বাজানো বন্ধের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের মতো এত আওয়াজের শহর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। বাংলাদেশের বাস বা ট্রাকের ৬৮ ভাগ চালক কানে শোনেন না। এখন সফল না ব্যর্থ এই প্রশ্ন না তুলে এটাকে সবাই জাতিগত প্রাধিকার এবং সামষ্টিক কাজ মনে করলে সফলতাটা খুব দূরে থাকবে না। আগামী মাস থেকে হর্নের ক্যাম্পেইন শুরু করব। সেখানে ছাত্রছাত্রীকে পাশে চাই।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিন বন্ধের কাজ ২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এরপর যখন ২০২৪ সালে আবার আমরা কাজটি শুরু করলাম তখন অনেকেই উৎসাহ দিচ্ছেন, অনেকেই আবার মনে করছেন কাজটি কেন এক্ষুনি হয়ে যাচ্ছে না। একটু অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন। অনেক নেতিবাচক কথা আমাদের শুনতে হয়। এটি কোনো সমস্যা নয়।
তিনি বলেন, আমরা যখন পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে যাচ্ছি, তখন সব জায়গায় নয়, কোথাও কোথাও বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। পলিথিন ঢাকায় উৎপাদন করে অন্যান্য শহরে যেন না যায়, সে বিষয়ে ওসি ট্রাফিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।