শেরপুরে বিক্রির উদ্দেশ্যে নেওয়া বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি এক ট্রাক বইসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। ট্রাকটিতে নয় হাজার বই ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম। এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

ওসি জুবায়দুল আলম জানান, গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়ার ধাতিয়া পাড়া থেকে বইসহ ট্রাকটি আটক করে থানায় নেয়। পরে এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম (৩২) নামে এক জনকে আটক করে পুলিশ।

ট্রাকটিতে ২০২৫ সালের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিভাগের মোট নয় হাজার বই ছিল। বইগুলো কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার ‘রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়’ থেকে বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে ঢাকা নেওয়া হচ্ছিল বলে জানান তিনি।

শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো.

রেজুয়ান জানান, বইগুলো শেরপুর জেলার বরাদ্দকৃত বই নয়। অন্য কোনো জেলার বই হতে পারে।

এ ব্যাপারে শেরপুর পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা যেটুকু জানতে পেরেছি, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত বইগুলো দুষ্কৃতকারী কর্তৃক পাচার হচ্ছিল। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/তারিকুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এ ঘটন য

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ