ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম পেরিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আবার গড়াবে রাজধানীতে। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগটি শেষের দিকে যত ছুটছে তত বাড়ছে ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে ঝামেলা। 

চিটাগং কিংসের দেশি ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমন এখন পর্যন্ত ১ টাকাও পাননি। দুই-দুইবার ব্যাংক থেকে ফেরত এসেছেন এই ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক সামির কাদের চৌধুরীও রাইজিংবিডি ডটকমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছে, ইমনের টাকা আটকে রাখা হয়েছে।

রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে সামির কাদের বলেন, “ও আমাদের এখান থেকে দুই-তিন দিনের ছুটি নিয়ে গেছে। ওর পেমেন্ট দেওয়া হয়নি এটাও আমি বলছি। একটা ব্যক্তিগত বিষয়ে ওর পেমেন্ট আটকে রেখেছি। ওর সাথে আলোচনার ব্যাপার আছে। বাকি ও কেন আসেনি আপনারা ওকে জিজ্ঞেস করেন।”

আরো পড়ুন:

বিতর্কে শেষ হলো বিপিএলের চট্টগ্রামের পর্ব, প্লে’অফের দৌড়ে কারা?

খুলনার প্রতিশোধে শেষ বিপিএল চট্টগ্রাম পর্ব

সেই কারণ কি? ক্রিকেটারের সম্মানহানি হবে বলে নির্দিষ্টভাবে কোনো কারণ বলতে চাননি সামির কাদের, “বিষয়টা আমার আগে প্লেয়ারের সাথে আলোচনা করতে হবে। আচরণবিধি, শৃংখলাভঙ্গ যেকোনো বিষয় হতে পারে।

“ইমন বলেছে ‘সবাই পেমেন্ট পেয়েছে আমি কেন পেলাম না?’ আমি তখন বললাম, নিশ্চয় কোনো কারণ আছে। পেমেন্ট দিতে কোনো আপত্তি নেই, বোর্ডের সঙ্গে আলাপ আছে, আপনার সঙ্গে আলাপ আছে। অবশ্যই আমি পেমেন্ট দিব।’’ -আরও যোগ করেন সামির কাদের।

এদিকে কয়েকটি গণমাধ্যম ইমন বিপিএলের বাকি ম্যাচ খেলতে আর ঢাকায় ফিরবে না বলে সংবাদ প্রচার করলেও সেটি অস্বীকার করছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে, “ও আমার কাছে অস্বীকার করে যাচ্ছে। সে বলেছে এমন কিছু বলেনি, কাল আসবে ঢাকায়, সরাসরি কথা বলবে।”

এদিকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য ইমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে রাইজিংবিডি ডটকম। তবে কোনো সাড়া দেননি। পরবর্তীতে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে জানান ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। 

“লম্বা গ্যাপ থাকায় দুই দিনের ছুটিতে আছি, কোচ ম্যানেজারের সাথে কথা বলে ছুটি নিয়েছি। টিম ছেড়ে চলে গিয়েছি এমন কথার কোন ভিত্তি নেই, এমনটা কোথাও বলিনি। দেখা হবে মাঠে।” 

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

লটারির পুরস্কার যখন পিকাসোর চিত্রকর্ম

পাবলো পিকাসোর চিত্রকর্মের বিশ্বজোড়া কদর। দামও আকাশছোঁয়া। সে জন্যই হয়তো শিল্পপ্রেমীদের অনেকেই পিকাসোর চিত্রকর্ম নিজের সংগ্রহে রাখার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। তাঁদের জন্য বড় সুযোগ হতে পারে ফ্রান্সের একটি দাতব্য সংস্থার লটারি। ১০০ ইউরোর লটারির টিকিট কিনে মিলতে পারে পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম।

এই লটারির টিকিট পাওয়া যাবে ‘ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকম’ নামের একটি ওয়েবসাইটে। এর উদ্দেশ্য মহৎ। মোট ১ লাখ ২০ হাজার টিকিট বিক্রির অর্থ যাবে আলঝেইমার রোগ নিয়ে গবেষণায়। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির প্যারিস কার্যালয়ে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

পিকাসোর ওই চিত্রকর্মে ‘ডোরা মার’ নামের এক নারীকে আঁকা হয়েছে। তিনি পিকাসোর একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৪১ সালে আঁকা চিত্রকর্মটির শিরোনাম ‘তেত দ্য ফাম’। বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে ‘নারীর মাথা’। কাগজের ওপর গোয়াশ রঙে আঁকা চিত্রকর্মটির উচ্চতা ১৫ দশমিক ৩ ইঞ্চি। চিত্রকর্মটির বর্তমান বাজারদর ১০ লাখ ইউরো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকমে এমন লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমটি ২০১৩ সালে। সেবার লেবাননের তায়ার শহর রক্ষায় ৪৮ লাখ ইউরোর তহবিল জোগাড় করা হয়েছিল। আর পরেরবার ২০২০ সালে আফ্রিকায় পানির উৎস ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য তোলা হয়েছিল ৫১ লাখ ইউরো। ওই দুবারও কিন্তু পুরস্কার ছিল পিকাসোর দুটি চিত্রকর্ম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লটারির পুরস্কার যখন পিকাসোর চিত্রকর্ম