না বুঝেই হয়তো নিজের ব্রাউজার হিস্ট্রি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক হচ্ছে সেই ব্রাউজার হিস্ট্রির অন্যতম ক্রেতা।
ইন্টারনেটে যা খুঁজছেন, তা সহজে জেনে যায় সোশ্যাল মিডিয়ার সবকটি প্ল্যাটফর্ম। কীভাবে তা আটকানো যায়, তা জানেন না অনেকেই। অবশ্য অনেক আগেই মেটা এমন অপশন উন্মোচন করেছে, যার মাধ্যমে ইউজার ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি বন্ধ রাখা সম্ভব। প্রশ্ন আসছে কীভাবে, যা জানা জরুরি। ইন্টারেনেটের হঠাৎ পছন্দের কোনো ব্র্যান্ডের জামা বা জুতার ছবিতে নজরে পড়ল। কিনবেন না হয়তো। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই দেখতে পাবেন ওই ব্র্যান্ডের জুতা আর জামা। শুধু তাই নয়, পরপর ওই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পণ্য আসবে স্ক্রিনে। প্রায় সবাই বিরক্ত হয়েই বিজ্ঞাপন দেখতে বাধ্য হয়ে পড়েন। আগ্রহী ভোক্তার সব ধরনের ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি জেনে যায় ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম। চাইলে তা আটকানো সম্ভব। বিজ্ঞাপনের অযাচিত জ্বালাতন বন্ধে ফিচার ডেভেলপ করেছে মেটা। মূলত প্রাইভেসি সেটিং বন্ধ করলে ইন্টারেনেটের ব্রাউজিং হিস্ট্রি বা ঠিক কী করছেন, তা আড়ালে চলে যাবে।
শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট কোন কোন কোম্পানি মেটাকে ব্রাইজারের তথ্য সরবরাহ করছে, তাও ঠিকঠাক জানা যাবে। ব্রাউজারে ইন্টারনেটের যে কোনো কিছু সার্চ বা খোঁজ করার আগে খেয়াল রাখতে হবে, কেউ না কেউ তাতে নজরদারি করছে। কারণ, তার প্রয়োজন আপনি কী ধরনের সার্চ করছেন। ওই তথ্য থেকে আপনার আগ্রহের পণ্যকে সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন করবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ২-৫ টাকা কমেছে
বাজারে সরু তথা মিনিকেট চালের দাম কিছুটা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে মোটা ও সরু নাজিরশাইল চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া বাজারে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও মুরগি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা দোকানে ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগর, রশিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গত সপ্তাহে মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল, যা আজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। একইভাবে ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম ৮৮ টাকা থেকে কমে ৮৫ টাকা ও রশিদ ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম ৭৮ টাকা থেকে কমে ৭৬ টাকা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি কমেছে মোজাম্মেল মিনিকেট চালের দাম। এই চালের দামই এত দিন সবচেয়ে বেশি ছিল। গত সপ্তাহেও খুচরায় মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ বাজারে সেটি বিক্রি হয় ৯২ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে ৮ টাকা কমেছে এই মিনিকেট চালের দাম।
তবে নাজিরশাইল, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও স্বর্ণা চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৮০ থেকে ৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০ টাকা এবং স্বর্ণা চাল ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের খুচরা চাল বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এখন বোরো ধানের মৌসুম চলছে। অর্থাৎ বোরো ধান থেকে যে চাল হয়, সেটি বাজারে এসেছে। সাধারণত মিনিকেট হিসেবে পরিচিত ছাঁটাই করা চালগুলো এ ধান থেকেই আসে। ফলে বাজারে নতুন মিনিকেট চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও কমেছে।
চড়া পেঁয়াজ, মুরগির দাম
বাজারে এখন মূলত দেশি পেঁয়াজই বেশি বিক্রি হয়। এই পেঁয়াজের দাম তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তি রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরেকটু বেশি। গত এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। আজ বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা ও সোনালির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দামও আগের মতোই বেশি রয়েছে। আজ এই মানের এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে সবজি কিনছেন দুই ক্রেতা