পাবনায় বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
Published: 27th, January 2025 GMT
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারমান মমতাজ উদ্দিন খান মুন্তাজের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নেতাকর্মীরা।
পাবনা জেলা বিএনপির ব্যানারে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের জুবলী ট্যাংকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চাপা মসজিদ হয়ে শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোড হয়ে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মমতাজ উদ্দিন খান মুন্তাজের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম গ্রুপের বিরোধ চলছিল। তারই জেরে গত বছরের ১৬ নভেম্বর দুই পক্ষের সংঘর্ষে জালাল উদ্দিন (৪০) নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়।
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিচারক অপসারণের দাবি
জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে ঘরে ফিরলেন আন্দোলনকারীরা
সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মমতাজ উদ্দিন খান মুন্তাজ সম্প্রতি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন জানালে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম আহমেদ, সেলিম সরদার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইট, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহসান হাবীব আকাশ ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রানা প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে মমতাজ উদ্দিন খান মুন্তাজের মুক্তির দাবি জানান, তা না হলে পাবনায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব