ইবির সমকামিতা প্রচারে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি
Published: 27th, January 2025 GMT
ছাত্রী হেনস্তা, সমকামিতা প্রচারসহ নানা অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে ১ বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তার বার্ষিক একটি ইনক্রিমেন্ট বা ধাপ বাতিল করা হয়েছে।
গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে গণমাধ্যমকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্য কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ২৬৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার ৪৪ নম্বর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইবির কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪এর ‘বি’ এবং ‘ই’ ধারা মোতাবেক তাকে বার্ষিক একটি ইনক্রিমেন্ট (ধাপ) বাতিল করা এবং ২২ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী ১ বছর বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হলো।
সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রী হেনস্তা, সমকামিতা প্রচারসহ নানা অভিযোগে গত ৭ অক্টোবর তার স্থায়ী অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে অভিযোগের তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য। তদন্ত চলাকালে ওই শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’